সাভার প্রতিনিধি
উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় কলেজছাত্র খুন
চার দিনেও গ্রেফতার হয়নি মূল আসামি
সাভারে তরুণীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদকারী কলেজছাত্র মারুফ খানকে হত্যার চার দিন পরও মূল আসামি মঞ্জুকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আসাদুল নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অপূর্ব বালা দাস দাবি করেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করা হবে।’ নিহত মারুফ খান ঢাকা কমার্স কলেজের ছাত্র ছিলেন। তিনি সাভার পৌর এলাকার নামা গেন্ডা মহল্লার আতাউর রহমানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের উলাইল গরুর হাটের সামনে দিয়ে মুনা নামের এক তরুণী হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় ওই গরুর হাটের কাজের জন্য থাকা স্থানীয় বখাটে মঞ্জু, শ্যামল ও প্লাবনসহ বেশ কিছু যুবক একজন তরুণীকে উত্ত্যক্ত করে। পরে ওই তরুণীর সহপাঠী মারুফ এ ঘটনার প্রতিবাদ করে ঘটনাস্থল থেকে সামনের দিকে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পরই মারুফ রাজাবাড়ী এলাকায় পৌঁছলে বখাটেরা তার পথ রোধ করে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা মারুফকে উদ্ধার করে প্রথমে এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই রাতেই নিহতের ভাই লুৎফর রহমান খান বাদী হয়ে শ্যামল, মঞ্জু, প্লাবন, রহিজ, শামীম, ইমরান ও মমিনসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
নিহত কলেজছাত্রের ভাই লুৎফর রহমান খান বলেন, ‘মঞ্জুর নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি বখাটে দল ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে টিয়াবাড়ি এলাকায় সময় কাটায়। তারা ওই সড়ক দিয়ে আসা যাওয়ার সময় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে। এছাড়া ২০১৬ সালে সাভারের ব্যাংক কলোনি মহল্লায় এক স্কুলছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় মঞ্জু গ্রুপ তিন শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম করে। ওই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়। এরপরও তারা স্কুল কলেজের ছাত্রীদের ইভটিজিং করে আসছে।’
জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অপূর্ব বালা দাস বলেন, ‘উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করার কারণেই কলেজছাত্রকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে বখাটে মঞ্জু ও তার লোকজন। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
"