চট্টগ্রাম ব্যুরো
সিএমপি কমিশনার
ছাত্রবিক্ষোভে পুলিশের শিক্ষা হয়েছে
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ-আন্দোলনের মাধ্যমে পুলিশের শিক্ষা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান। গতকাল সোমবার ট্রাফিক সপ্তাহ উপলক্ষে নগরের দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে র্যালির উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
সিএমপি কমিশনার বলেন, যে ছাত্র আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, এর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা হয়েছে। আমরা জনগণকে সচেতন করার সুযোগ পেয়েছি। যেসব কারণে আমরা আইন প্রয়োগ করতে পারি না যেসব কারণ আমরা অতিক্রম করতে চাই। আমি মনে করি, ছাত্রদের এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন আমাদের জন্য শিক্ষনীয় হয়েছে। আমরা এটাকে পুঁজি করে সামনের দিকে চলতে চাই।
যানবাহন শ্রমিকরা সমাজেরই অংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা কেউ বাইরের না। আমরা মনে করি এই শ্রমিকদের, চালকদের সচেতন করতে পারলে আমরা অবশ্যই এই কাজে সফল হবো। দুর্ঘটনাতে শ্রমিক-চালক পঙ্গু হয়না, ক্ষতিগ্রস্ত হয়না তা কিন্তু নয়। তাদের মধ্যে সচেতনতা আনা গেলে দুর্ঘটনা অনেকাংশ কমে আসবে।
পুলিশ কমিশনার বলেন, আইন ভঙ্গের দায়ে এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে ট্রাফিক পুলিশ যে পরিমাণ মামলা-জরিমানা করে, তার পরিমাণ প্রতি মাসে প্রায় চার কোটি টাকা। এই টাকা আমরা সরকারী কোষাগারে জমা দেই। তারপরও আইন ভাঙার প্রবণতা কমেনি। কারণ হচ্ছে, আমাদের আইন না মানার সংস্কৃতি। আইন না মেনে টিকে থাকা যায়Ñ এ অভ্যাসটা গড়ে উঠেছে বলেই আমরা এখন পর্যন্ত শতভাগ সফল হয়নি।
যানজট নিরসন এবং পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনতে পুলিশের ঘোষিত ট্রাফিক সপ্তাহ উপলক্ষে র্যালি দামপাড়া পুলিশ লাইন্স থেকে শুরু হয়ে জিইসি কনভেনশন সেন্টারের সামনে গিয়ে র্যালি শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিতে সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) মাসুদ উল হাসান, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) কুসুম দেওয়ান, অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) শ্যামল কুমার নাথ, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) হারুন অর রশিদ হাজারী, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-বন্দর) ফাতিহা ইয়াছমিন, আজাদীর সম্পাদক ও নগর কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির আহবায়ক এম এ মালেক, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সদস্য সচিব অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
"