ক্রীড়া ডেস্ক
রাজার ব্যাটে জিম্বাবুয়ের লড়াই
শ্রীলঙ্কাকে অল্পতে রুখে দিয়ে বড় লিডের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেই যেন খেই হারিয়ে ফেলে জিম্বাবুয়ে। বিশেষ করে রঙ্গনা হেরাথের ঘূর্ণিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ধস নামে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংয়ে। ২৩ রানের মধ্যে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ে মনে করিয়ে দিচ্ছিল তাদের ক্ষয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু ওয়ানডের মতো আরো একবার জ্বলে উঠল সিকান্দার রাজার ব্যাট। তাতেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে জিম্বাবুয়ে। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে তারা ৬ উইকেটে ২৫২ রান তুলেছে। জিম্বাবুয়ের লিড দাঁড়িয়েছে ২৬২ রানের। শুরুটা হয়েছিল রিগিস চাকাবাকে। দলীয় ১৪ রানে হেরাথের বলে ব্যক্তিগত ৬ রানে বোল্ড হয়ে ফেরেন রিগিস চাকাবা (৬)। তাকে হারিয়ে জিম্বাবুয়ের ধসের শুরু। এরপর একে একে একে ফিরে গেছেন মুসাকান্দা (৬), হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (৭) ও ক্রেইগ আরভিন (৫)। চাকাবা ফেরার দুই রান পরেই হেরাথের বলে লেগবিফোরের ফাঁদে কোনো রান না করেই ফেরেন মুসাকান্দা। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মাসাকাদজাও। যাওয়ার আগে মাত্র ৭ রান করেন নির্ভরযোগ্য এই ব্যাটসম্যান। তাকে নিজের তৃতীয় শিকার বানান হেরাথ। আগের ম্যাচে ১৬০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলা ক্রেইগ আরভিনকে এবার মাত্র ৫ রানে ফিরিয়ে নিজের চতুর্থ শিকার সম্পন্ন করেন হেরাথ। এরপর শন উইলিয়ামসকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু করেন সিকান্দার রাজা। জিম্বাবুয়ে যখন একটু থিতু হওয়ার চেষ্টা করছে ঠিক তখন আউট হন শন উইলিয়ামস (২২)। তাকে ফেরান পেরারা। ষষ্ঠ উইকেটে সিকান্দার রাজা ও পিটার মুর ধাক্কা সামলে জিম্বাবুয়েকে কক্ষপথে রাখেন। দুজনে মিলে যোগ করেন ৮৬ রান। ৮৯ বলে ৪০ রান করেন মুর। কুমারার বলে গুনাথিলাকাকে ক্যাচ দেন তিনি। তার বিদায়ের পর রাজার সঙ্গে জুটি বাধেন ম্যালকম ওয়ালার। সপ্তম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন থেকে এই জুটি দিন শেষ করেছে ১০৭ রানে। দুজনই ফিফটি করেছেন। রাজা আছেন নিজের শতক থেকে মাত্র ৩ রান দূরে ৯৭ রানে এবং ওয়ালার ৫৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন। ৭৯ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন হেরাথ। এরআগে শ্রীলঙ্কা তাদের প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে ৩৪৬ রানে। ফিফটি পেয়েছেন উপুল থারাঙ্গা ও অধিনায়ক দিনেশ চান্ডিমাল। থারাঙ্গা ১০৭ বলে ৭১ এবং চান্ডিমাল ১০০ বলে ৫৫ রান করেছেন। পাশাপাশি আসেলে গুনারতেœ ৪৫ ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ৪১ রান করেন।
"