ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ০৬ এপ্রিল, ২০২৪

শান্তদের নিয়ে যে আক্ষেপ বিসিবির

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের মান নিয়ে আক্ষেপ করে কদিন আগেই কথা বলেছিলেন মুমিনুল হক। তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই কথা বলেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্তও। এই আসরের মান বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছিলেন তারা। তবে নিজেদের যে রিসোর্স রয়েছে, তাই নিয়েই খেলতে বললেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস। বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই সাদা ও লাল দুই বলেই খেলেন। ঠাসা সূচিতে তাই ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার সুযোগ কমই পান। যখনই পান, তখন কেবল সাদা বলে খেলতেই আগ্রহ দেখান তারা। লাল বলের খেলা এলে দুই-একজন খেললেও বিশ্রামে থাকেন শীর্ষ ক্রিকেটাররা। আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সঙ্গে বিস্তর পার্থক্য থাকায় আগ্রহ নেই তাদের।

পার্থক্য থাকলেও এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানান বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান, ‘আমাদের যে রিসোর্স আছে, তাদের নিয়েই তো খেলতে হবে। আপনি এর বাইরে কীভাবে যাবেন। আমাদের প্লেয়ার তারাই খেলছে এখানে। হ্যাঁ জাতীয় দলের প্লেয়ারদের সঙ্গে বাকিদের একটা তফাত থাকে। আমরা কিন্তু চেষ্টা করি মানসম্পন্ন প্লেয়ার খেলোয়াড়... আমরা নজর দিচ্ছি সেদিকে।’ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিলেট টেস্টে বিধ্বস্ত হওয়ার পর আগের দিন চট্টগ্রাম টেস্টেও বড় ব্যবধানে হারের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে সম্পূর্ণ ব্যর্থ ছিলেন ব্যাটাররা। আত্মাহুতির মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন তারা। মনোযোগের ঘাটতি ছিল স্পষ্ট। তাই এ নিয়ে খুব শীগগিরই আলোচনায় বসবেন বলে জানান জালাল, ‘ঈদের পর নির্বাচক, কিছু প্লেয়ার, ক্রিকেট অপারেশনস আমরা সবাই বসব। আমরা রিভিউ করব।’

তবে টেস্টে একেবারে লড়াই করতে না পারার আক্ষেপ ঝড়ে তার কণ্ঠে, ‘আসলে ম্যাচ তো হারতেই পারে। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় নাই। যেটা সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, যদি ওরা ৫০০ রান করতে পারে, তাহলে আমরা ৪৫০ করতে পারলাম না কেন? ৪০০+ করতে পারলাম না কেন? এখানে বড় একটা আক্ষেপ আছে।’ অথচ উইকেট ছিল ব্যাটারদের জন্য স্বর্গ। তাই আক্ষেপটা আরো বেশি জালালের, ‘হোম গ্রাউন্ড। দুইটা ভালো উইকেটে খেলেছি। আমরা চট্টগ্রাম এবং সিলেট নিয়েছিলাম ব্যাটারদের সুযোগ দেওয়ার জন্য, যাতে ব্যাটাররা রান করতে পারে।...২-৩ জন নতুন প্লেয়ার আছে নাম বলছি না, তাদের সময় লাগবে। অভিজ্ঞ যারা ছিল যারা রান করে নাই। কোনো অভিজ্ঞ প্লেয়ার থেকে দুইটা জুটি হলে কিন্তু আমাদের হয়ে যেত। কিন্তু আমরা তাদের কাছ থেকে পাইনি, এটা বড় একটা আক্ষেপ।’

এদিকে সময়টা ভালো যাচ্ছে না লিটন দাসের। গত কয়েকটি সিরিজে ব্যাট হাতে রান খরায় ভুগছেন তিনি। এ কারণে ওয়ানডে দল থেকে বাদও পড়েছিলেন। তবে সাদা পোশাকের ক্রিকেট দিয়ে মাঠে ফিরেছিলেন। কিন্তু সেখানেও ব্যর্থ হয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। শ্রীলঙ্কা সিরিজ শেষে এখন বাংলাদেশের ভাবনায় শুধুই টি-২০ বিশ্বকাপ। আগামী জুনে মাঠে গড়াবে বিশ্বকাপ। সেই হিসেবে আর মাত্র ২ মাস বাকি মেগা টুর্নামেন্টের। এরই মধ্যে দল গোছানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেই দলে লিটন দাস থাকবেন কি না, সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। লিটন প্রসঙ্গে গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। তার মতে, এই মুহূর্তে লিটনের বিকল্প ক্রিকেটার নেই বিসিবির হাতে। তাই তাকে নিয়েই এগোতে হচ্ছে বাংলাদেশ দলকে।

বারবার সুযোগ পেয়ে কাজে না লাগাতে পারায় লিটনের ওপর খানিকটা হতাশ লিপু। লিপু বলেন, ‘আমরা লিটনকে আরো একটা সুযোগ দিয়েছিলাম চট্টগ্রামে। ক্রিকেটারদের নিজেদের রিয়ালাইজেশন আসা উচিত।’ কদিন আগে লিটনের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘লিটনের এখন বিশ্রাম দরকার। তাই লিটনকে বিশ্রাম দেওয়ার চেষ্টা করছে বোর্ড।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close