ক্রীড়া ডেস্ক

  ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

রিয়ালের নতুন নায়ক দিয়াস

রিয়াল মাদ্রিদের বেঞ্চের শক্তিরই যেন বড় প্রমাণ। দুরন্ত ছন্দে থাকা জুড বেলিংহ্যাম ফিট না থাকায় কোনো সমস্যাতেই পড়ল না স্প্যানিশ জায়ান্টরা। তার জায়গায় নেমে দলকে ম্যাচ জেতানো দারুণ গোল এনে দিয়ে নায়ক বনে গেলেন ব্রাহিম দিয়াস। পরশু আরবি লাইপজিগের মাঠ রেল বুল অ্যারেনায় গিয়ে দিয়াসের দারুণ গোলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে রিয়াল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসের সফলতম দল শেষ আটের পথেও এগিয়ে গেল তাতে। গত শনিবার লা লিগার ম্যাচে জিরোনার বিপক্ষে ৪-০ গোলে জয়ের দিন অ্যাঙ্কেলের চোটে তিন সপ্তাহের জন্য ছিটকে যান বেলিংহ্যাম। তার জায়গায় নেমে দলকে জেতানো দিয়াস এ ম্যাচে শেষ দিকে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ছেন। এটা অবশ্য এখন একটু চিন্তারই রিয়ালের জন্য।

এদিন খেলার শুরু থেকে তাল মিলিয়ে খেলছিল দুই দলই। প্রথমার্ধে কোনো গোল তাই আসেনি। বিরতির পর ঝলক দেখান দিয়াস। বক্সের ডান কোনা দিয়ে পায়ের কারিকুরি দেখিয়ে ঢুকে পড়েন, দুইজন ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বা পায়ের শটে চোখধাঁধানো গোলে উল্লাসে মাতেন তিনি। এ গোল ধরে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় স্প্যানিশ জায়ান্টরা। ৬ মার্চ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ফিরতে ম্যাচ খেলবে দু-দল। এদিকে গোলের পর সহজাত উদযাপনে ছুটে গিয়ে ছোট্ট লাফ দেন তিনি। এরপরই দুহাত প্রসারিত করে উদযাপন করেন, যা এখন বেলিংহ্যামের চেনা উদযাপন। ব্রাহিমের সঙ্গে একইরকম উদযাপনে যোগ দেন ভিনিসিউস জুনিয়র, রদ্রিগোরাও। চোটের কারণে এ ম্যাচটি খেলতে পারেননি বেলিংহ্যাম। তবু মাঠে তাকে ফুটিয়ে তুললেন ব্রাহিম ও সতীর্থরা। রিয়ালের মতো এত বড় ক্লাবে প্রথম মৌসুমেই কতটা প্রভাব রাখতে শুরু করেছেন বেলিংহ্যাম এবং দলে কতটা জনপ্রিয় তিনি, সেটিই যেন ফুটে ওঠে এতে। ব্রাহিমের গোলের পরই বেলিংহ্যাম সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন, ‘ওহ মাই গড ব্রাহিম।’ ম্যাচের পর মুভিস্টারের সঙ্গে কথোপকথনে বেলিংহ্যামের প্রতি নিজের ভালোবাসার কথা জানান ব্রাহিমও। আমি ওকে ভালোবাসি। আমাদের সম্পর্ক দারুণ, একদম প্রথম থেকেই ওর সঙ্গে আমার খুব জমে গেছে। স্প্যানিশ শেখায় ওকে সাহায্য করছি আমি।’ ও বিশ্বমানের ফুটবলার। ওর সঙ্গে খেলাটা দারুণ উপভোগ করি আমি। ফুটবলে তার ঐশ্বরিক সামর্থ্যের বাইরে মানুষ হিসেবেও অসাধারণ ও।’ নিজের গোলটি নিয়ে ব্রাহিম বললেন, সবকিছুই সহজাতভাবেই হয়ে গেছে তখন। ‘বল পাওয়ার পর দৌড়াতে শুরু করি আমি। খেয়াল করছিলাম, ওরা কাছে আসতে দ্বিধায় ভুগছে, একটু সরে গিয়ে আটকানোর চেষ্টা করছিল আমরা। সেটা বুঝেই বল নেটে পাঠিয়ে দেই।’ ‘একদমই তাৎক্ষণিক ছিল এটা। একবার ভেবেছিলাম ভিনিসিউসকে দেব বল। তবে শেষ পর্যন্ত আমিই শট নিলাম। ভালো গোল ছিল।’ বেলিংহ্যামসহ চোটের কারণে একগাদা ফুটবলারকে না পেয়েও যেভাবে ছুটে চলেছে রিয়াল, এই ক্লাবের শ্রেষ্ঠত্বকেই তা ফুটিয়ে তুলছে বলে মনে করেন ব্রাহিম। ‘জুডের অভাব আমরা অনুভব করেছি। এছাড়া রুডিগারসহ আরো যারা অনেক দিন ধরে চোটের কারণে মাঠের বাইরে, সবাইকে মিস করেছি। তবে আমরা ম্যাচের পর ম্যাচ দেখিয়ে যাচ্ছি কতটা অসাধারণ দল আমরা। দেখিয়ে দিচ্ছি, আমরা রিয়াল মাদ্রিদ।’ ম্যাচের শেষ দিকে অবশ্য চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ব্রাহিম নিজেও। ব্রাহিমের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কোচ কার্লো আনচেলত্তিও।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close