ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ০৯ আগস্ট, ২০২২

‘আমাদের শিক্ষা হয়েছে’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দুটি একদিনের ম্যাচে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেনি টিম বাংলাদেশ। শতভাগ জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে রেগিস চাকাভার দল। এটাকে নিজেদের দলের খেলোয়াড়, স্টাফ এবং ম্যানেজম্যান্টের জন্য বড় শিক্ষা বলে মনে করছেন টাইগারদের হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো।

৫ উইকেটের পরাজয় দিয়ে পঞ্চাশ ওভারের সিরিজ শুরু করে বাংলাদেশ। সিরিজ বাঁচাতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিততেই হতো সফরকারীদের। তবে এই ম্যাচেও ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারেনি তামিম ইকবাল খানের দল। আরো একবার ৫ উইকেটের হারে শেষ ম্যাচকে শুধু আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত করেছে লাল সবুজরা। ধবলধোলাই এড়ানোর মিশনে আগামী ১০ আগস্ট জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের হেড কোচ বলেন, ‘কোচিং স্টাফ ও ক্রিকেটারদের জন্য দারুণ শিক্ষা হয়েছে। আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু হতে এখনো প্রায় দেড় বছরের মতো বাকি আছে। ভাগ্য ভালো এই খেলাগুলোর কোনো পয়েন্ট নেই। এই সিরিজটাকে আমাদের জন্য তাই অভিজ্ঞতা হিসেবে নিতে হবে।

জিম্বাবুয়েকে কৃতিত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে সিকান্দার রাজার কথা না বললেই নয়। সিরিজে সে অসাধারণ পারফর্ম করছে। চাপের মুখেও দুর্দান্ত দুটি শতক হাঁকিয়েছে। রাজা ক্যারিয়ারের সেরা ছন্দে আছে। স্বাগতিকরা দুই ম্যাচে চারটি সেঞ্চুরি করেছে। ওদের ব্যাটসম্যানরা কৃতিত্বের দাবিদার। প্রথম দুই ম্যাচে ওরা আমাদের উড়িয়ে দিয়েছে।’

অন্যদিকে তামিম বলেন, দুই ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের যেখানে চারটি সেঞ্চুরি সেখানে বাংলাদেশের নেই কোনো শতক। এমন বড় পার্থক্যই সিরিজ হারের কারণ বলে জানিয়েছেন তিনি ।

হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে প্রথম ওয়ানডেতে ২ উইকেটে ৩০৩ রান করেছিল বাংলাদেশ। টাইগারদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮১ রান করেছিলেন ওপেনার লিটন দাস। জবাবে ১০ বল বাকি রেখে ৩০৪ রানের টার্গেট স্পর্শ করে ফেলে জিম্বাবুয়ে। ওই ম্যাচে জিম্বাবুয়ের পক্ষে জোড়া সেঞ্চুরি করেছিলেন ইনোসেন্ট কাইয়া ও সিকান্দার রাজা। কাইয়া ১১০ ও রাজা অপরাজিত ১৩৫ রান করেন।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটারদের হাত ধরে বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ৯ উইকেটে ২৯০ রান তুলেছিল টাইগাররা। সর্বোচ্চ ৮০ রান আসে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের কাছ থেকে।

জবাবে রেগিস চাকাভা ও রাজার জোড়া সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের ছুড়ে দেয়া ২৯১ রানের টার্গেট স্পর্শ করে ফেলে জিম্বাবুয়ে। চাকাভা ১০২ ও রাজা অপরাজিত ১১৭ রান করে।

দুই ওয়ানডেতে চারটি সেঞ্চুরি করে জিম্বাবুয়ে। সেখানে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটার সেঞ্চুরির ধারেকাছেও যেতে পারেননি। সিরিজে এই চার সেঞ্চুরিতেই বাংলাদেশের বিপক্ষে দাপটের সঙ্গে প্রথম দুই ওয়ানডে জিতে সিরিজ পকেটে ভরে নেয় জিম্বাবুয়ে। সেঞ্চুরি না থাকলেও ছয়টি হাফ সেঞ্চুরি আছে বাংলাদেশের।

তবে জিম্বাবুয়ের চারটি সেঞ্চুরির বিপরীতে বাংলাদেশের সেঞ্চুরির ভান্ডার শূন্য হওয়ায় সিরিজ হারের পেছনে বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে বলে মনে করেন তামিম। ম্যাচ শেষে তামিম বলেন, ‘সিরিজ হারের পার্থক্য হচ্ছে তারা চারটি সেঞ্চুরি পেয়েছে এবং আমরা একটিও পাইনি। এ কারণেই আমরা ভালো সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারিনি। ভালো শুরু পেয়েছি, কিন্তু ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারিনি।’

উইকেট ভালো থাকলেও নিজেদের সেরাটা খেলতে পারেননি বলে জানান তামিম। জিম্বাবুয়ে ভালো খেলে সিরিজ জিতেছে এমনটা স্বীকার করলেন তামিম, ‘শুরু থেকেই উইকেট ভালো ছিল। স্পিনারদের বিপক্ষে খেলা সহজ ছিল না। জিম্বাবুয়েকে কৃতিত্ব দিতে হবে। এই সিরিজে সেরা দল ছিল তারা। আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আমরা সেরা ক্রিকেট খেলতে পারিনি এবং এজন্য আমরা এই অবস্থানে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close