ক্রীড়া ডেস্ক

  ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০

বাজে হারে ম্যানইউয়ের শুরু টানা জয়ে উড়ছে আর্সেনাল

দলবদলের বাজারে ম্যান ইউনাইটেডের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে ভক্তদের বিরক্তি তুঙ্গে। এমন অবস্থায় ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে জয় দিয়ে নতুন মৌসুম শুরু করলে কিছুটা স্বস্তি পেত ইউনাইটেড। কিন্তু হয়েছে উল্টোটা। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে ৩-১ গোলে হেরে গেছে ওলে গানার সোলশারের ইউনাইটেড।

ম্যাচের মাত্র সপ্তম মিনিটেই প্যালেসের টাউনসেন্ডের গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যান ইউনাইটেড। এরপর ৭৪ এবং ৮৫ মিনিটে জোড়া গোল করে ম্যান ইউনাইটেডের নতুন মৌসুমের প্রথম দিনটাকে বিষিয়ে দেন দলটির সাবেক খেলোয়াড় উইলফ্রেড জাহা। দুই গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় অবশ্য ৮০ মিনিটে নতুন মুখ ডনি ভ্যান ডি বিকের গোলের মাধ্যমে একটা লাইফলাইন খুঁজে পেয়েছিল ইউনাইটেড। তবে সেটা আর কাজে লাগাতে পারেননি তারা।

অন্য ম্যাচে প্রিমিয়ার লিগে নতুন উঠে আসা ওয়েস্ট ব্রমের দিনটা একেবারেই ভালো যায়নি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ডিফেন্ডার কিয়েরান গিবস লাল কার্ড দেখে মাঠে ছাড়েন। আর বিরতির পর সেই লাল কার্ড নিয়ে রেফারি মাইক ডিনের কাছে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ওয়েস্ট ব্রম কোচ স্লাভেন বিলিচ নিজেও লাল কার্ড দেখেন।

এদিকে এডি এনকেতিয়ার শেষ মুহূর্তের গোলে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পেরেছে আর্সেনাল। ম্যাচের ২৫ মিনিটে পিয়ের-এমেরিক অবামেয়াংয়ের সঙ্গে সংযোগ থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন অ্যালেক্সান্ডার লাকাজেত। এর মিনিট বিশেক পর ওয়েস্ট হামের মিখাইল আন্টোনিও দলকে সমতায় আনেন। এরপর অনেক চেষ্টা করেও আর গোলের দেখা পাচ্ছিল না আর্সেনাল। ড্র-কেই যখন ম্যাচের একমাত্র নিয়তি বলে মনে হচ্ছিল, তখনই বদলি হিসেবে মাঠে নামা এনকেতিয়া ম্যাচের ৫ মিনিট বাকি থাকতেই দানি সেবায়োসের অ্যাসিস্টে গোল করে আর্সেনালের জয় নিশ্চিত করেন। মৌসুমের প্রথম ম্যাচের আগে সেবায়োস এবং এনকেতিয়ার মাঝে বিবাদের খবর প্রকাশিত হয়েছিল। সেটির রেশও পরশু ম্যাচের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন এনকেতিয়া।

১৬ বছর পর প্রিমিয়ার লিগে উঠে এসে প্রথম দিনেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল মার্সেলো বিয়েলসার লিডস ইউনাইটেড। সাত গোলের থ্রিলারে একটুর জন্য জয় হাতছাড়া হয়েছিল সেদিন। লিডসের দ্বিতীয় ম্যাচেও সাত গোল হয়েছে, তবে এদিন স্নায়ু নিয়ন্ত্রণে রেখে ৪-৩ গোলে জয় পেয়েছে তারা। হেল্ডার কস্তার গোলে ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল লিডস। ৩৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল দলকে সমতায় নিয়ে আসেন অ্যালেক্সান্ডার মিত্রোভিচ। এরপর ৪১, ৫০ এবং ৫৭ মিনিটে যথাক্রমে মাতেউস ক্লিখ, প্যাট্রিক বামফোর্ড এবং কস্তার গোলে ম্যাচ অনেকটা ফুলহামের নাগালের বাইরে নিয়ে যেতে চেয়েছিল লিডস। তবে ৬২ এবং ৬৭ মিনিটে ববি রাইড এবং মিত্রোভিচের গোলে ম্যাচে নিজেদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিল স্কট পার্কারের ফুলহাম। তবে শেষ পর্যন্ত সমতাসূচক গোলটি আর খুঁজে পায়নি তারা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close