শাহীন পরদেশী

  ০২ মার্চ, ২০২৪

শারমিনের চোখে একুশ

একটুও ঘুম নেই শারমিনের চোখে। সারারাত জেগে আছে। আর দাদিকে প্রশ্ন করছে। আচ্ছা দাদি ভাষা আন্দোলনের জন্য কেন আমাদের দেশের সোনার ছেলেরা শহীদ হলো। দাদি শারমিনকে তখন বুজিয়ে বলে ওরা আমাদের মায়ের ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল। এক শ ভাগের মধ্য সারে তিন ভাগ লোকের মুখের ভাষা ছিল উর্দু।

তবু পাকিস্তানিরা বলে একমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। আমাদের দেশের জনগণ তা মেনে নেয়নি। শক্তি, সাহস, মনোবল নিয়ে পাকিস্তানি শাসকদের সঙ্গে মায়ের ভাষার জন্য সংগ্রাম করেছেন। শারমিন দাদির মুখে ভাষাশহীদদের কথা শোনে আর কান্না করে। দাদি বলে, শারমিন ঘুমাও। ভোরবেলা শহীদ মিনারে যাব। সঙ্গে তুমিও যাবে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে।

শারমিনের ঘুম আসছে না। সে দাদিকে বলে, কয়েকজন ভাষাশহীদের নাম বলো দেখি, তখন দাদি ভাষাশহীদদের নাম বলেন, বরকত, রফিক, শফিউর, সালাম, জব্বার, আউয়ালসহ অনেকে। শারমিন দাদিকে বলে আচ্ছা দাদি ভোরবেলা আমরা শহীদ মিনারে যাব ফুল লাগবে তো, ফুল কই, দাদি বলে, ভোর হলে টুকুন ঠাকুরের বউ পান্না মালীকে বললে দেবে।

শারমিন বলে হবে না দাদি এভাবে, রাতেই ফুল আনতে যাব চলো। দাদিকে জোর করে সঙ্গে নিয়ে গেল মালীর কাছে। হরেক রকমের ফুল নিল, কৃষ্ণচূড়া, জবা, গোলাপ, গন্ধরাজ, বেলি আরো কয়েক ধরনের। ভোরবেলা শহীদ মিনারে গেল দাদির সঙ্গে শারমিন। ফুল দিয়ে কান্না শুরু করে দিল, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলতে পারি’ গানটা শোনে। শারমিনের চোখও যেন মনে হচ্ছে রক্তে ভেজা একুশ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close