আন্তর্জাতিক ডেস্ক
হামাসের ওপর ইসরায়েলের নৃশংস হামলা
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখ-ে হামাস রাজনৈতিক গোষ্ঠীর বিভিন্ন অবস্থানের ওপর ২০১৪ সালের যুদ্ধের পর থেকে ‘সবচেয়ে কঠোর হামলা’ চালিয়েছে ইসরায়েল। শনিবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ কথা জানিয়েছেন বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে।
গাজা থেকে ইসরায়েলি ভূখ-ে রকেট হামলার জবাবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রয়োজন হলে আরো হামলা চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নেতানিয়াহু। কিন্তু ফিলিস্তিনি পক্ষগুলো একটি অস্ত্রবিরতির বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে বলে দাবি করেছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজা শহরে চালানো বিমান হামলায় দুইজন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলে ছোড়া ৯০টিরও বেশি রকেটের মধ্যে একটিতে তিন ইসরায়েলি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা গাজা ভূখ- নিয়ন্ত্রণকারী হামাস রাজনৈতিক গোষ্ঠীর ব্যবহৃত বিভিন্ন স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। সেগুলোর মধ্যে বেইত লাহিয়ায় হামাসের ব্যাটেলিয়ন সদর দফতর, উত্তর গাজার আল শাতি শরণার্থী শিবিরের একটি সুউচ্চ ভবনে স্থাপিত একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প, অস্ত্রের গুদাম ও রকেট লঞ্চারগুলো অন্যতম।
এক ভিডিও বক্তব্যে নেতানিয়াহু বলেছেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান এবং ইসরায়েল রাষ্ট্রের শীর্ষ নিরাপত্তা কমান্ডের পরামর্শমতো হামাস সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।
‘অপারেশন প্রোটেক্টিভ এজের (২০১৪ সালের হামাস-ইসরায়েল লড়াই) পর থেকে হামাসের ওপর সবচেয়ে কঠোর আঘাত হেনেছে আইডিএফ, আর প্রয়োজন হলে হামলা আরো জোরদার করা হবে।’
তবে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘মিসরীয় ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগে’ একটি অস্ত্রবিরতির বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের এই দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।
এক ফিলিস্তিনি প্রত্যক্ষদর্শী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজা শহরের একটি ফাঁকা ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং যারা হতাহত হয়েছেন তারা পথচারী।
হামাস জানিয়েছে, শুক্রবার সীমান্ত এলাকায় প্রতিবাদ চলাকালে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে অপর এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
আইডিএফ জানিয়েছে, গাজা থেকে ইসরায়েলে কয়েক ডজন রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি রকেট সদেরত শহরের একটি বাড়িতে আঘাত হেনেছে, এতে তিনজন আহত হয়েছেন।
"