গাইবান্ধার সান্তাহার-লালমনিরহাট রেলপথের গাইবান্ধা আদর্শ কলেজের সামনে ট্রেনে কাটা পড়ে এক গৃহবধূ ও কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- গৃহবধূ রাজিয়া বেগম ও কলেজছাত্র জোবায়ের মিয়া।

গাইবান্ধার সান্তাহার-লালমনিরহাট রেলপথের কাছ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় কলেজছাত্র জোবায়ের দেখেন, এক গৃহবধূ কোলে শিশুসন্তান নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তখন গাইবান্ধা রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে আসছিল সান্তাহারগামী একটি লোকাল ট্রেন। ওই গৃহবধূকে বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তিনজনই রেলপথের পাশে ছিটকে পড়েন। এ সময় দেড় বছর বয়সি শিশুসন্তান বেঁচে গেলেও গৃহবধূ এবং কলেজছাত্র নিহত হন।

গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় গাইবান্ধা আদর্শ কলেজসংলগ্ন রেলপথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকেই প্রথমে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে রংপুরে নেওয়ার পথে গৃহবধূ এবং কলেজছাত্র মারা যান। শিশুটি গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহত জোবায়ের গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি শহরের এসকেএস স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। নিহত গৃহবধূর নাম রাজিয়া বেগম। তিনি গাইবান্ধা শহরের মাঝিপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী।

রেলওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূ রাজিয়া বেগম শিশুসন্তানকে কোলে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তখন রেললাইনের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন জোবায়ের। তিনি তাদের ঝাঁপ দিতে দেখে রেললাইন থেকে ধাক্কা দেন। তখন সান্তাহারগামী লোকাল ট্রেনের ধাক্কায় তিনজনই রেললাইন থেকে ছিটকে পড়েন। তাদের মধ্যে জোবায়ের ও রাজিয়াকে রংপুরে মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পথে মারা যান। শিশু আবিরকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গাইবান্ধা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এএসআই) ফারুক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এটা আত্মহত্যা নাকি দুর্ঘটনা, এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

"