প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

চীনের সঙ্গে ফের বাণিজ্যযুদ্ধ বাধাতে চান ট্রাম্প

ফের প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে ফেললেন দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থীপ্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট হলে চীনা পণ্যে আরো বেশি শুল্কারোপ করবেন। স্থানীয় সময় গত রবিবার ফক্স নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসির।

যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হওয়ার জন্য দলীয় মনোনয়নের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প। প্রার্থিতা এখনো নিশ্চিত না হলেও রিপাবলিকান প্রাইমারি নির্বাচনগুলোয় তিনি ফ্রন্টরানার। আশা করা হচ্ছে, নভেম্বরের নির্বাচনে বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন ট্রাম্পই। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বরাবরই চীনের ওপর ক্ষিপ্ত; বিশেষ করে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতির কারণে বেইজিংয়ে বিরুদ্ধে অন্যায্য বাণিজ্য কৌশল এবং মেধা সম্পত্তি চুরির অভিযোগ তার।

ফক্স নিউজকে ট্রাম্প বলেন, আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে চীনা পণ্যের ওপর আরো শুল্কারোপ করা হবে। এটি ৬০ শতাংশের বেশিও হতে পারে। ট্রাম্প বলেন, আমাদের এটা করতে হবে। কেননা আপনি জানেন, স্পষ্টতই আমি চীনকে আঘাত করতে চাইছি না। আমি চীনের সঙ্গে থাকতে চাই, আমি মনে করি সেটিই হবে দুর্দান্ত। কিন্তু তারা সত্যিই আমাদের দেশের সুবিধা নিয়েছে।

মূলত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে চীনের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার হয়ে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর বিশাল বাণিজ্য ঘাটতির কারণে ক্ষিপ্ত ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালে বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে একটি তিক্ত বাণিজ্য যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটান। ট্রাম্প শত শত বিলিয়ন ডলার মূল্যের চীনা পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করেন। ট্রাম্প প্রশাসন প্রথমে ২০১৮ সালে চীনা আমদানি রোধ করার লক্ষ্যে শুল্কারোপ করা শুরু করে।

বছরের শেষ নাগাদ শুল্ক বাড়ানোর প্রবণতা সামুদ্রিক খাবার থেকে শুরু করে রাসায়নিক পণ্যে পর্যন্ত ঠেকে। পাল্টাপাল্টি বেইজিং সয়াবিন, গম ও মুরগিসহ মার্কিন আমদানির ওপরও শুল্ক বৃদ্ধি করে দেয়। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই আরোপিত শুল্ক বহাল রেখেছে। উপরন্তু বাইডেন সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা রয়েছে, তাদের এ নীতির কারণে জিনিসপত্রের দাম আরো বেড়ে গেছে এবং বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতা যুক্তরাষ্ট্রকে আরো দুর্বল করে তুলেছে।

যাই হোক, মার্কিন-চীন অর্থনৈতিক সম্পর্কে কাটছাঁট ইস্যুটি কিছু রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতার সমর্থন পাচ্ছে। সম্প্রতি হাউস কমিটির এক প্রতিবেদনে চীন থেকে আমদানির ওপর উচ্চ শুল্কারোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে চীনা বিনিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ করা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close