নড়াইল প্রতিনিধি

  ১৫ আগস্ট, ২০২২

হাতুড়িপেটায় আহত প্রতিবন্ধীর মৃত্যু

নড়াইলে হাতুড়িপেটায় আহত প্রতিবন্ধী জুয়েল ভূঁইয়া (১৮) খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় মারা গেছেন। তিনি সদরের বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের কর্মচন্দ্রপুর গ্রামের পান্নু ভূঁইয়ার ছেলে। তার মৃত্যুর ঘটনা শোনার পর বিক্ষুব্ধ লোকজন প্রতিপক্ষের প্রায় ২০টি বাড়ি ভাঙচুর করেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৬ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। জুয়েলের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কর্মচন্দ্রপুর গ্রামে সিকদার ও ভূঁইয়া বংশের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। শারীরিক প্রতিবন্ধী জুয়েল বাড়ির পাশর্^বর্তী মাদরাসা বাজারে একটি দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। সোমবার (৯ আগস্ট) সকাল ৯টায় ভ্যানে দোকানে আসার পথে বেদভিটা নামক স্থানে পৌঁছলে কর্মচন্দ্রপুর গ্রামের ৫-৬ জন তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মাথায়সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে। ঘটনার পর তার আর জ্ঞান ফেরেনি। শনিবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জুয়েলের চাচা মান্নান ভূঁইয়া বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন।

এদিকে, জুয়েলের মৃত্যুর খবর শোনার পর নিহতের পক্ষের লোকজন আসামিপক্ষের আতিয়ার সিকদার, ইয়াসিন সিকদার, ফিরোজ সিকদার, হাফজ সিকদারসহ ২০টি বাড়ি ভাঙচুর করে। এ খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ ৬ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।

এ ব্যাপারে বাঁশগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ফকির বলেন, ‘ভাঙচুরের ঘটনা শোনার পরপরই ঘটনাস্থলে যাই। জুয়েলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রায় ২০টি বাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ লোকজন। তবে কোনো বাড়ি লুটপাট হয়নি।’

সদর থানার ওসি (চলতি দায়িত্বে) মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ লোকজন কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ৬ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে এবং ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া জুয়েলকে জখমের মামলা এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। এ ঘটনায় হাজতে একজন এবং বাকি ৪ জন জামিনে রয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close