করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের (প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের) পর্যবেক্ষণমূলক টিকাদান শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট)। এ কর্মসূচিতে টিকা নিতে আসা শিশুদের ভয়-ডরহীন ও উচ্ছ্বসিত দেখা গেছে। সবার আগে নিজের সন্তানকে টিকা দিতে পেরে খুশি অভিভাবকরাও। টিকা গ্রহণ করে শিশুরাও খুশি হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পর্যবেক্ষণমূলক এই কার্যক্রমে বৃহস্পতিবার টিকা নিয়েছে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার আবুল বাশার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া ১৬ শিক্ষার্থী। অনুভূতি জানতে চাইলে বিদ্যালয়টির চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সানজিদা আক্তার বলে, স্কুলের বান্ধবীদের সঙ্গে টিকা নিতে এসেছি। খুবই ভালো লাগছে। খুশি লাগছে। ‘ভয় লাগছে কি না’ জানতে চাইলে ওই শিক্ষার্থী বলে, কোনো ভয় লাগছে না। টিকা নিলে কিছুই হয় না। সানজিদা বলে, টিকা নিলে বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচা যায়, করোনা হয় না। আর টিকা না নিলে করোনা হলে মানুষ বেশি অসুস্থ হয়, এমনকি মারাও যেতে পারে।

তৃতীয় শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী শামীমা সিদ্দিকা তাসিন বলে, টিকা নিতে কোনো ভয় লাগছে না। আম্মু আমার সঙ্গে এসেছে। বলেছে টিকা নিলে কোনো ভয় নেই। কেন টিকা নিতে চাও জানতে চাইলে এই খুদে শিক্ষার্থী বলে, টিকা নিলে করোনা থেকে ভালো থাকা যায়। তাই আমি এই ভাইরাস থেকে সুরক্ষা নেওয়ার জন্য টিকা নিতে এসেছি।

মো. মাইমুন সিদ্দিক নামের আরেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলে সে জানায়, বন্ধুদের সঙ্গে টিকা নিতে এসে তার খুব ভালো লাগছে। ভয় লাগছে কি না জানতে চাইলে মাথা নাড়িয়ে বলে, একটুও ভয় লাগছে না।

মাইমুন বলে, মা বলেছে করোনা থেকে সুরক্ষা পেতে টিকা নিতে হবে। টিকা নিতে এসে ভালো লাগছে।

মো. স্বপন মিয়া নামের এক অভিভাবকের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, দুই মেয়েকে টিকা দিতে নিয়ে এসেছি। একজন পড়ে ক্লাস ওয়ানে, আরেকজন তৃতীয় শ্রেণিতে। দুজনই হাসিমুখে টিকা নিতে এসেছে। তাদের মধ্যে কোনো ভয় নেই।

কেন শিশুদের টিকা নেওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বপন মিয়া বলেন, আমি টিকা নিয়েছি, আমার স্ত্রীসহ আমার বড় বাচ্চারা নিয়েছে। এখন ছোটদের নিয়ে এসেছি। টিকা নেওয়া মানেই করোনা থেকে সুরক্ষা।

বাচ্চাদের নিয়ে কোনো ভয় বা শঙ্কা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারা বিশ্বে টিকা কার্যক্রম চলছে। এই পর্যন্ত আমি কোথাও শুনিনি টিকা নিয়ে কেউ মারা গেছেন। সুতরাং এটা নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।

"