নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৯ জুন, ২০২২

মোমেন-জয়শঙ্কর বৈঠক আজ

গুরুত্ব পাবে অমীমাংসিত ইস্যু ও ভূরাজনীতি

জ্বালানি ও পানি সহযোগিতা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের (জেসিসি) বৈঠকে আলোচনা করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুুল মোমেন এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এর আগে দুই দেশের বিভিন্ন বৈঠকের ফল নিয়েও আলোচনা হবে এবং দিকনির্দেশনা দেওয়ার চেষ্ট করা হবে। আজ রবিবার বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে এই বৈঠক হবে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে সামস বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে অনেক বৈঠক হয়েছে। ওইসব বৈঠকে যেসব বিষয় অমীমাংসিত বা আটকে রয়েছে, সেগুলো আলোচনার মাধ্যমে নিরসন করার চেষ্টা করবেন দুই মন্ত্রী। আঞ্চলিক ও ভূরাজনীতি নিয়েও দুই পক্ষ তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করবে বলে তিনি জানান।

এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন গতকাল দিল্লিতে কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির (সিআইআই) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আজ জয়শঙ্করের সঙ্গে জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের বৈঠকে অংশ নেবেন। এর আগে ওই বৈঠকটি ৩০ মে হওয়ার কথা থাকলেও পরবর্তীকালে সেটি পিছিয়ে যায়।

জ্বালানি খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান অনেক দিন থেকে আলোচনা করে আসছে। গত এপ্রিলে জয়শঙ্করের ঢাকা সফরের সময়ে দিল্লির সমর্থনের বিষয়টি তিনি প্রকাশ্যে ব্যক্ত করেন। এ প্রেক্ষাপটে বিবিআইএন কাঠামোর অধীনে জ্বালানি নিরাপত্তা সহযোগিতা করতে আগ্রহী ঢাকা।

এ বিষয়ে মাশফি বিনতে সামস বলেন, এ অঞ্চলের চারটি দেশের মধ্যে জ্বালানি, পানি, কানেক্টিভিটিসহ অন্যান্য সহযোগিতা নিয়ে ২০১৩ সালে ঢাকায় আলোচনা হয়েছে। আমরা এটিকে বেগবান করতে চাই।

চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার : ২০১৯ সালে দুই দেশ সম্মত হয় যে, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের ব্যবসায়ীরা তদের কার্গো আনা-নেওয়া করতে পারবে। কিন্তু তিন বছরেও এটি চালু হয়নি।

মাশফি বিনতে সামস বলেন, আমরা এ বছরের মধ্যে এটি চালু করতে চাই। এজন্য দুই বন্দরে দুটি করে চারটি ট্রায়াল রান করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, করোনাকালে চট্টগ্রাম ও মোংলাবন্দর ব্যবহার সংক্রান্ত একটি ট্রায়াল রান হয়েছিল।

পানি ইস্যু : দীর্ঘ ১২ বছরে যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক হয়নি এবং এটি হওয়ার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেতে অনেকবার তাগাদা দেওয়া হলেও ভারতের পক্ষ থেকে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মাশফি বলেন, জেআরসি বৈঠক দ্রুত করার বিষয়ে আমরা তাগাদা দেব। এছাড়া অন্য নদী নিয়েও আলোচনা হবে।

কুশিয়ারা নদীর পানি উত্তোলন এবং রহিমপুর খাল নিয়ে অমীমাংসিত চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করারও তাগিদ থাকবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close