খুলনা ব্যুরো

  ১২ মে, ২০২২

খুলনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশের পরিস্থিতি কখনোই শ্রীলঙ্কার মতো হবে না

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি কখনোই শ্রীলঙ্কার মতো হবে না। বিএনপি দিবাস্বপ্ন দেখছে ক্ষমতায় এসে তারা আবার দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যাবে। তবে জনগণ তাদের সঙ্গে নেই, জনগণের আস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। জনগণ জানে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। কারণ তিনি জনগণকে যা প্রতিশ্রুতি দেন, তা বাস্তবায়ন করে দেখান।

গতকাল বুধবার খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের জন্য নির্মিত একটি ফ্লোটিং ক্রেন, দুটি টাগ বোট, ৬টি হাইস্পিড বোট এবং নারায়ণগঞ্জের ডিইডব্লিউ নির্মিত একটি ইনশোর প্যাট্রোল ভেসেল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে যে কোস্টগার্ডের যাত্রা হয়েছিল, তা এখন সত্যিকার অর্থে গার্ডিয়ান অব সি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে- উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্যের ৯০ শতাংশই সমুদ্রপথে সম্পন্ন হয়। এ ছাড়া প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হওয়ায় বঙ্গোপসাগরে বিশাল সমুদ্রসম্পদের ভান্ডার আমাদের অধিকারে এসেছে। এগুলো আহরণ এবং সমুদ্রগামী জাহাজগুলোর নিরাপত্তা বিধানে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। কোস্টগার্ডের জন্য খুশিলি নির্মিত এসব বোট হস্তান্তরের মাধ্যমে তাদের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি পাবে। তিনি আন্তর্জাতিক মানদন্ড বজায় রেখে এসব বোট নির্মাণের জন্য খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডকে ধন্যবাদ জানান।

খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভেন লিউইন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, খুলনা নেভাল এরিয়ার কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল এম আনোয়ার হোসেন ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী। খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর এম সামছুল আজিজ এতে সভাপতিত্ব করেন।

হস্তান্তর শেষে মন্ত্রী টাগ বোট ঘুরে দেখেন এবং এর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। উল্লেখ্য, টাগ বোটদ্বয় ৩৫০০ টন ওজনের যেকোনো জাহাজের বার্থিং/আন বার্থিং, টোউ, পুশ/পুল অপারেশন ছাড়াও ফায়ার ফাইটিং, অন্য জাহাজের দুর্ঘটনাকালীন সহযোগিতা, ডুবন্ত জাহাজের উদ্ধার অভিযান ইত্যাদি জরুরি কাজ সম্পাদনে ব্যবহৃত হবে। বোটদ্বয় বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সব জাহাজের বিভিন্ন অফশোর সাপোর্ট কার্যাবলি সম্পাদনে সক্ষম হবে। এ ছাড়া অন্য বোটগুলো দ্বারা উপকূলীয় এলাকায় নিয়মিত টহল প্রদান, চোরাচালানবিরোধী অভিযান, মাদক পাচারবিরোধী অভিযান, দুর্ঘটনা-পরবর্তী উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ-পরবর্তী উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনা, পরিবেশদূষণ প্রতিরোধসহ নানাবিধ কার্যক্রম বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সার্বিক অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close