নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৮ অক্টোবর, ২০১৮

সড়ক আইনের প্রতিবাদ

লাইসেন্সবিহীন চালকের মুখে ইঞ্জিন অয়েল

এবার সড়কে চলাচল করা গাড়ি থামিয়ে চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করছেন শ্রমিক নেতারা। যেসব চালকের লাইসেন্স নেই, তাদের নাকে-মুখে পোড়া ইঞ্জিন অয়েল মেখে দিয়েছেন তারা। এ ঘটনা ঢাকার পশ্চিম দোলাইরপাড় এলাকার। গতকাল রোববার সদ্য পাস হওয়া সড়ক পরিবহন আইনের প্রতিবাদে যাত্রাবাড়ী-পোস্তগোলা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে ট্রাক-লরি-কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। যাদের কাছে বৈধ লাইসেন্স পাওয়া যায়, তাদের গাড়ি চালানো বন্ধ করে আন্দোলনে নামার জন্য বলপ্রয়োগ করা হয়। সম্প্রতি জাতীয় সংসদে পাস হওয়া সড়ক পরিবহন আইনের প্রতিবাদে মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ আজ থেকে সারা দেশে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে।

নতুন সড়ক পরিবহন আইনে সড়ক দুর্ঘটনায় অপরাধ প্রমাণ হওয়া সাপেক্ষে একজন চালকের সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদন্ডের বিধান রয়েছে। এ ছাড়া এই আইনে সড়ক দুর্ঘটনায় কারো মৃত্যু হলে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান আছে। সে ক্ষেত্রে অপরাধীর সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড।

পশ্চিম ধোলাইরপাড় এলাকায় আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ট্রাক-লরি-কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. এরশাদ। তিনি বলেন, ‘আইনে মৃত্যুদন্ড আর পাঁচ বছরের কারাদন্ডের বিধান আছে। এই বিধান মাথায় নিয়ে আমরা গাড়ি চালাব কী করে? এই আইন বাতিল করতে হবে। বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের একজন উপপরিদর্শক (এসআই) দীন ইসলাম বলেন, শ্রমিকেরা যা করছেন, সেটা তারা করতে পারেন না। কারো মুখে রং লাগানো বা লাইসেন্স চেক করে সেই লাইসেন্স নিজদের কাছে রাখার আইনি অধিকার তাদের নেই। ব্যাপারটি তাদের বলা হয়েছে। শ্রমিক নেতাদের বলা হয়েছে, তারা বিষয়টি দেখছেন বলে জানিয়েছেন। দুপুর পর্যন্ত প্রায় ১০০ ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান সেখানে আটকে রেখেছেন শ্রমিকেরা। এসব যানবাহনের চালকের লাইসেন্স তারা রেখে দিয়েছেন।

এসআই দীন ইসলাম বলেন, যিনি লাইসেন্স রাখছেন, তাদের তথ্য পুলিশ রেখেছে। শিগগিরই প্রত্যেকের লাইসেন্স ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close