রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, রবীন্দ্রসংগীতে যাকে বলা হয় বাংলাদেশের গর্ব। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ‘আজীবন সম্মাননা’য় ভূষিত হচ্ছেন তিনি। এদিন রাজধানীর শাহবাগের একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজন করা হয়েছে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা, স্মার্ট বাংলাদেশ পারফরম্যান্স ও সম্মাননা প্রদানের। ‘টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ (ট্রাব) ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এই আয়োজন করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন ট্রাবের সভাপতি সালাম মাহমুদ।

বর্তমানে গানের কাজেই কলকাতায় আছেন গুণী এই সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। কলকাতা থেকে মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই যেকোনো পুরস্কার একজন শিল্পীর জন্য পরম আনন্দের, ভালো লাগার। যথারীতি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিন এই সম্মাননা আমি আনন্দের সঙ্গেই গ্রহণ করব। ধন্যবাদ আয়োজকদের, যারা আমাকে এই সম্মাননার জন্য নির্বাচিত করেছেন।’ এদিকে আগামী এপ্রিল বা মেতে ভারতের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে গ্রহণ করতে যাচ্ছেন ভারতের বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদক। গত ২৫ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসকে উপলক্ষ করে এই সম্মাননায় বন্যাকে ভূষিত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৯৫৭ সালের ১৩ জানুয়ারি রংপুর জেলায় জন্ম নেওয়া রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা প্রথমে ছায়ানট এবং পরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন। সেখানে শান্তিদেব ঘোষ, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেন ও আশীষ বন্দ্যোপাধায়ের মতো সংগীতজ্ঞদের সান্নিধ্যে আসেন তিনি। সংগীতে অবদানের জন্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার পান বন্যা। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের ‘বঙ্গভূষণ’, ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদকসহ বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত এ শিল্পী।

"