বিনোদন প্রতিবেদক

  ১২ জানুয়ারি, ২০২৪

অ্যান্ড্রু কিশোরকে নিয়ে আয়োজন

বাংলাদেশের প্লে-ব্যাক সম্রাট অ্যান্ড্রু কিশোরের জন্মদিন ছিল গত ৪ নভেম্বর। ২০২০ সালের ৬ জুলাই তিনি মারা যান। মৃত্যুর তিন বছরের পরে হলেও তাকে নিয়ে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গত ১০ জানুয়ারি বিকেলে ‘বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস’র উদ্যোগে ও শিল্পী, সংগীত পরিচালক, অডিও এক্সপার্ট জুয়েল মোরশেদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ‘আধুনিক বাংলা গান ও অ্যান্ড্রু কিশোর’ শীর্ষক এক আলোচনায় সভা ও সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঢাকার আগারগাঁওয়ের জাতীয় গ্রন্থাগার ভবনের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন কপিরাইট অফিসের ‘রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটস’ মো. দাউদ মিয়া, প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমেদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সালমা মমতাজ। অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন অ্যান্ড্রু কিশোরের সহধর্মিণী লিপিকা অ্যান্ড্রু।

তিনি বলেন, ‘অ্যান্ড্রুর সবচেয়ে বড় গুণ ছিল, সে সহজে রাগ করত না বা কারো ওপর রাগ করলেও, মন খারাপ করলেও প্রতিক্রিয়া দেখাত না। যেকোনো সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করত। নিজের দায়িত্ব নিয়ে সব সময় সচেতন ছিল, হোক তার পেশাগত কিংবা পরিবারকেন্দ্রিক দায়িত্ব। সত্যি বলতে কী, মরণোত্তর সভা বা আলোচনার তেমন কোনো গুরুত্ব নেই। তার চেয়ে বরং যারা চলে গেছেন তাদের নিয়ে কোথাও একটা স্টার গ্যালারি হোক। পৃথিবীর সব দেশেই স্টার গ্যালারি আছে, আমাদের দেশে ঠিক এমন কিছু হোক, যাতে পরবর্তী প্রজন্ম ভুলে না যায়। আমাদের দেশের শিল্পীরা কেন যথার্থ সম্মান বা সম্মানী পান না। যে কারণে শিল্পীরা মানসিকভাবে শান্তিতে থাকেন না। চলচ্চিত্রের গানের শিল্পীর ক্ষেত্রে কপিরাইট নিয়ে যে জটিলতা, এটা শেষ হোক- এটাই আমার চাওয়া। তাতে শিল্পীদের জন্য কল্যাণকর হয়। যে আইন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এত জটিলতা, তা নিয়ে শুধু একটি কথাই বলব, আইন তো কোনো কোরআন-বাইবেল নয়, যেটাকে পরিবর্তন করা যাবে না। আইন তো মানুষের জন্য, মানুষ তো আইনের জন্য নয়।’

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সচিব খলিল আহমেদ, আলোচকদের নানা সমস্যা শোনার পর তা আগামীতে সমাধানের ব্যাপারে আম্বাস প্রদান করেছেন।

অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধায়ক জুয়েল মোরশেদ বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় অ্যান্ড্রু দাদাকে নিয়ে এমন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ কপিরাইটম অফিসের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আগামীতেও এ ধরনের অনুষ্ঠান অব্যাহত রাখার জন্য তারা আমাদের পাশে থাকবেন বলেই আমার বিশ্বাস।’

অনুষ্ঠানে আলোচনা শেষে সংগীত পরিবেশন করেন প্রতীক হাসান, শারমিন কেয়া, ঈশিকা, সজীব, শামীম, তুর্য ও রাশেদ জামান। অনেকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আসিফ ইকবাল, হামিন আহমেদ, মানাম আহমেদ, মিসেস আইয়ুব বাচ্চু, দেবেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, ধ্রুব গুহ, মনির খান, মুহিন, সাব্বির প্রমুখ। কুমার বিশ্বজিৎ, দেশের বাইরে থেকে এমন একটি আয়োজনের জন্য আয়োজকদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close