সাজেদ কামাল
তারুণ্যের ঈদ পোশাক
তরুণ-তরুণীদের ঈদের আনন্দ নতুন পোশাকে। নতুন পোশাক ঈদ উৎসবের আনন্দকে আরো জাঁকজমকপূর্ণ করে তোলে। বাজেটের বড় অংশ বরাদ্দ থাকে পোশাকের জন্য। হাল ফ্যাশনের যুগে উৎসবের পোশাক ও সাজে কিছুটা যোগ-বিয়োগ চলতেই থাকবে। বাজারে কোন পোশাকটি এসেছে, স্টাইল কী, সাজের ধারা এবার কোনদিকে ইত্যাদি সব বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে পোশাক ক্রয় করেছে তারা। ঈদকে কেন্দ্র করে বরাবরের মতো এবারও নান্দনিক পোশাক পাঞ্জাবিতে তরুণদের আগ্রহ লক্ষ করা গেছে। ক্রেতা আকৃষ্ট করতে দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোতে পাঞ্জাবির সংগ্রহে রয়েছে নতুন রং ও নকশা। তরুণ প্রজন্মের ফ্যাশন ও চাহিদা বিবেচনা করে আলোচিত ফ্যাশন হাউসগুলোর পাঞ্জাবির কালেকশনে রয়েছে রং বৈচিত্র্য, রকমারি অলঙ্করণ, বিন্যাস আর নিরীক্ষার শৈল্পিক উপস্থাপনা। একসময় একরঙা শার্টের জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। এখন এক রঙের পরিবর্তে প্রিন্টেড, চেক, স্ট্রাইপ শার্টের কদর কিছু বেশি। নতুন প্রজন্মের অনেকেরই পছন্দ প্রিন্টেড শার্ট। উৎসব বলে উজ্জ্বল রঙের প্রতি ঝোঁক বেশি। কলেজপড়–য়া ছেলেরা ‘ন্যারো জিন্স’ কিংবা বাহারি রঙের গ্যাবার্ডিনের সঙ্গে প্রিন্টেড শার্ট পরে এক্সপেরিমেন্ট করছে। পুরনো দিনের আদলে লম্বা কলারের দিকেই ঝুঁকছে তরুণরা।
কাপড়ের পাশাপাশি মানানসই জুতা-মোজা, ঘড়ি, বেল্ট, মানিব্যাগ, রোদচশমা, টুপি, ব্রেসলেট, বডি স্প্রেও ছেলেদের গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। জিন্স বা ফরমাল যেকোনো প্যান্টের সঙ্গেই বেল্ট অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বর্তমানে জিন্সের সঙ্গে তরুণরা পাথর বসানো বাক্লেসর বেল্ট পরছে। বেল্টের মধ্যে রয়েছে ‘ব্র্যান্ড লেদার’, ‘ফ্যাশনেবল’ কিংবা ‘ডিজাইনার বেল্ট’। ভালো মানের কয়েকটি ব্র্যান্ড হলো গুচি, অ্যাপেক্স, সিকে, বস, প্লেবয় ও আরমানি। কাপড়ের বেল্টের চাহিদাও লক্ষ করা যাচ্ছে। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে রোদচশমা ব্যবহারে ফ্যাশনে আসে স্টাইলিশ ভাব।
গাউন পোশাকটিকে অতীতে যদিও পশ্চিমা দেশের পোশাক হিসেবেই ধরা হতো তবে এখন ভারত বা আমাদের দেশের তরুণীদের মধ্যেও এই পোশাক বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ঈদের পোশাক হিসেবে অনেকে বেছে নিচ্ছেন গাউনকে। এ ছাড়া ঈদকে কেন্দ্র করে কামিজ, টপসের ওপর শ্রাগ, কেপ, কটি, জ্যাকেট, কিমোনো ইত্যাদিতে বেশি আকর্ষণ লক্ষ করা গেছে তরুণীদের মধ্যে। ঢোলা সালোয়ার, হারেম প্যান্ট, পালাজ্জো এবার ঈদে বেশ দেখা যাচ্ছে। পালাজ্জো বানাতে কাপড়ের পর কাপড় ব্যবহার করা হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় দেখা গেল বেলবট্টা স্টাইলেও প্যান্ট করা হয়েছে। হাঁটুর একটু নিচ পর্যন্ত চাপা কাটের হয়ে এরপর হঠাৎ করে ফ্রিল বা ঘের দেওয়া। সিল্ক, শিফন, জর্জেটের শার্ট, লম্বা কুর্তার সঙ্গে ভালো মানাবে। পালাজ্জো, সালোয়ার অথবা স্ট্রেট প্যান্টে লেস ব্যবহার করা হচ্ছে। সালোয়ারে বা প্যান্টে পকেটের ব্যবহার হচ্ছে। আছে স্কার্টও। প্যান্ট একটু উঁচু করেই পরা হচ্ছে এখন। মেয়েদের পোশাকের কাটে যেটা বেশি চোখে পড়ছে, তা হলো উঁচু-নিচু কাট। তবে তরুণ-তরুণীরা এবার ঈদে ক্যাজুয়াল পোশাক পছন্দ করছে। রুচি ও সাধ্যের মধ্যে প্রতিটি মানুষই চায় নিজেকে অন্যের চেয়ে আলাদা দেখাতে। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে নানা রং আর ডিজাইনের ক্যাজুয়াল পোশাকের পসরা সাজিয়েছে ফ্যাশন হাউসগুলো।
"