রিফাত সাখাওয়াত

  ১৩ মার্চ, ২০২৪

বিশ্লেষণ

অগ্নিক্ষরা মার্চ ও আমাদের জাতীয় চেতনা

স্বাধিকার, স্বাদেশিকতা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সম্মিলনে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে অধিকার অর্জনের অগ্নিক্ষরা মাস মার্চ। ইতিহাস ও ঐতিহ্যে আবর্তিত মার্চের ওপর ভিত্তি করেই রচিত হয়েছে আমাদের জাতীয় চেতনা। তাই, মার্চ শুধু একটা নিছক মাস নয়, এটি জ্বলন্ত এক স্ফুলিঙ্গ, একই সথেঙ্গ আমাদের স্বপ্নের, আশা-আকাঙ্ক্ষার, আনন্দ-বেদনার, দুঃখের ও ক্রন্দনের মাস। বাঙালি জাতীয়তাবাদ থেকে শুরু করে সর্বশেষ বিশ্বমানচিত্রে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে মার্চের দিনগুলোর ভূমিকা অগ্রগণ্য।

বাঙালির সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাস ও জাতীয় জীবনের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হলো আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। একাত্তরের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা-পরবর্তী দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও কার্যত এই যুদ্ধ শুরু হয় মার্চের প্রথম থেকেই। তারও আগে ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক তার ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবে আজকের বাংলাদেশকে অখণ্ড সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে পেশ করেছিলেন। লাহোর প্রস্তাবকে ‘পাকিস্তান প্রস্তাব’ বলা হলেও সেখানে কোথাও পাকিস্তানের কথা ছিল না। পরবর্তী দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে দীর্ঘ প্রায় বারো শ মাইলের ব্যবধানে শুধু ধর্মের নামে দুটো আলাদা জাতিকে এক করা হয়। তার পরবর্তী ইতিহাস বৈষম্য ও লাঞ্ছনার, আমাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার আদায়ের পাকিস্তানের প্রায় চব্বিশ বছরব্যাপী দীর্ঘ সংগ্রামের। পরিশেষে সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের মাধ্যমে ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহারা আত্মত্যাগের মাধ্যমে হাজার বছরের নিষাদ জাতি তার সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক স্বপ্নসাধ পূরণ করে।

বাঙালির স্বপ্নসাধ যৌক্তিক পরিণতির মাস মার্চ। এই মাসেই ১৯১৭ সালের ২০ তারিখে বাইগার নদীর তীরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মা সায়েরা খাতুন ও পিতা শেখ লুৎফর রহমানের কোল আলোকিত করে জন্ম নিয়েছিলেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, শতবর্ষের দাসত্বমুক্তির অগ্রনায়ক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ছাত্র জীবনের, তার রাজনৈতিক জীবনের যে হাতেখড়ি, তার যৌক্তিক পরিণতি ও অনুপ্রেরণাই সর্বাত্মক অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪-এর নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬-এর ছয় দফা, ৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন এবং ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও তৎপরবর্তী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

পাকিস্তান রাষ্ট্র জন্ম নিলে পূর্ববঙ্গের জনগণ ভেবেছিল এবার তাদের অর্থনৈতিক মুক্তি মিলবে, সামাজিক, রাজনৈতিক অধিকার লাভ করবে। কিন্তু অব্যবহিত পরেই পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর কাছে পূর্ববঙ্গ পরিণত হয়েছিল নব্য উপনিবেশে। শুরুতেই তারা আঘাত হানে আমাদের মাতৃভাষার ওপর। ১৯৪৭-এর শেষ দিকে গঠিত হয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। ভাষার প্রশ্নে ১৯৪৮ সালে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবি নিয়ে শুরু হয় বাঙালির সংগ্রাম। ২ মার্চ রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ পুনর্গঠিত হয়। ১১ মার্চ গণপরিষদের ভাষা তালিকা থেকে বাংলাকে বাদ দিলে পূর্ব বাংলায় ভাষা আন্দোলন আরো বেগবান হয়। এই দিন তৎকালীন ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমানসহ শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর প্রতিবাদে ঢাকায় পুরোধমে ধর্মঘট পালিত হলে পূর্ব বাংলার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন চাপের মুখে পড়ে, বাধ্য হয়ে ১৫ মার্চ রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আট দফা দাবি পূরণে স্বাক্ষর করে এবং শেখ মুজিবসহ আটককৃত সবাইকে মুক্তি দেয়। এই ১১ মার্চ ১৯৫২ সালের আগ পর্যন্ত ভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়েছিল। ১৯ মার্চ ঢাকায় আসেন পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্নর মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। তিনি ২১ মার্চ ঢাকায় তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ঘোষণা দেন, ‘State Language of Pakistan is going to be Urdu & no other Language’. অর্থাৎ উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা অন্য কোনো ভাষা নয়। ২৪ মার্চ কার্জন হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তনে একই কথার পুনরাবৃত্তি করলে ছাত্ররা ‘না, না’ ধ্বনিতে প্রতিবাদ করে। ভাষার প্রশ্নে আপসহীন জনতার দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম চলতে থাকে। ১৯৫০ সালের ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ‘বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠিত হয়। অবশেষে ২১ ফেব্রুয়ারি ৫২-এর ভাষা আন্দোলনে পৃথিবীর প্রথম জাতি হিসেবে বাঙালি ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করার মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষা রাষ্ট্রভাষার মর্যাদায় আসীন হয়। বলাবাহুল্য, ১৭ নভেম্বর ১৯৯৯ সালে ইউনেসকো কর্তৃক ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষিত হলে বিশ্ব দরবারে বাংলা আমাদের জাতীয় চেতনাকে সমুন্নত করে।

ভাষার অধিকার রক্ষা করে শোষিত বাঙালি সংবিৎ ফিরে পায়। বাঙালি জাতীয়তাবাদে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শোষণমুক্তির আন্দোলনে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে শামিল হয়। ১৯৫৪ সালের মার্চ মাসের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা দাবি উত্থাপন, ১৯৬৬ সালে শেখ মুজিব কর্তৃক বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ছয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে ও সত্তরের নির্বাচনে জয়লাভের মধ্য দিয়ে আমরা পৌঁছাই একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে। সত্তরের সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ জাতীয় ও প্রাদেশিক উভয় পরিষদ নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করলে স্বাভাবিকই আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের কথা। কিন্তু ১৯৭১ সালের ১ মার্চ ইয়াহিয়া খান আকস্মিক ৩ মার্চ তারিখের ঢাকায় জাতীয় পরিষদ অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করলে ক্রুদ্ধ হয় আপামর জনসাধারণ। সেদিন ঢাকা স্টেডিয়ামে (বর্তমান বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম) পাকিস্তান বনাম বিশ্ব একাদশের ক্রিকেট খেলা চলছিল। গ্যালারি ভর্তি দর্শক লাঠিসোঁটা নিয়ে রাজপথে নেমে ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’ ‘জয় বাংলা’ ইত্যাদি নানা স্লোগান দিলে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ঢাকা। শেখ মুজিব অসহযোগ আন্দোলন, ২ মার্চ ঢাকায় ও ৩ মার্চ থেকে সারা দেশে হরতালের ডাক দেন এবং ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে জনসমাবেশের ঘোষণা দেন। ২ মার্চ ছাত্র সমাবেশে ডাকসু ভিপি আ স ম আবদুর রব সবুজের ওপর বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত পতাকা প্রথম উত্তোলন করেন। সে পতাকা ছিল আমাদের স্বাধীনতার ঐতিহাসিক সত্তা, আমাদের আলোর নিশানা। সেদিনকার পতাকা ওড়ানোর অনুভূতির কথা বলতে গিয়ে মিস্টার রব বলেছেন, ‘পতাকা উত্তোলন স্বায়ত্তশাসন বা দ্বিজাতিতত্ত্বকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছিল। তখন শুধু একটি পথই খোলা ছিল স্বাধীনতা।’ ৩ মার্চ পল্টনে স্বাধীনতার ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। এদিনই পাকিস্তানি হানাদারের হাতে নিহত হন মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ শঙ্কু মজুমদার। তারপর থেকে দ্বিগুণ শক্তিতে বিদ্রোহের আগুন জ্বলতে থাকে সারা বাংলাদেশে।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বাঙালির প্রেরণার উৎস, চেতনার চূড়ান্ত পরিণতি। বঙ্গবন্ধুর পূর্বোক্ত ঘোষণা অনুযায়ী সারা দিন গ্রামগঞ্জ, শহর, মফস্বল থেকে লোকজন এসে জড়ো হতে থাকে রমনা রেসকোর্সে। কী বলবেন নেতা? কী শোনাবেন? জনমনে অধীর আগ্রহ। অবশেষে নেতা এসে মঞ্চে দাঁড়ালেন। লাখো মানুষের সমাগমে ১৮ মিনিটের এক জ্বালাময়ী ভাষণে উজ্জীবিত করে তুললেন সমগ্র জাতিকে। বাংলার মানুষের চাওয়া-পাওয়ার কথা বলে পাকিস্তানের দীর্ঘ ২৩ বছরের করুণ ইতিহাস, অত্যাচার-অবিচার, শোষণ, বৈষম্য, নির্যাতন-নিপীড়নের বর্ণনা দিয়ে দেশের মানুষকে ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। সর্বশেষে বজ্রকণ্ঠে দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।’ ৭ মার্চ আজ বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। উল্লেখ্য, ৩০ অক্টোবর ২০১৭ সালে ইউনেসকো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ ভাষণে বাংলার মানুষ দৃঢ় চেতনায় ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে, যা পরে সশস্ত্র সংগ্রামে রূপ লাভ করে। পূর্ব বাংলা কার্যত অচল হয়ে পড়লে অবস্থা বেগতিক দেখে ইয়াহিয়া খান ১৫ মার্চ ঢাকায় আসেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলোচনার নামে কালক্ষেপণ করেন। ২৩ মার্চ পাকিস্তান প্রজাতন্ত্র দিবসে বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। ১৫ থেকে ২৫ মার্চ মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠক ছিল মূলত সাজানো প্রহসন। অন্যদিকে ইয়াহিয়া-ভুট্টো-টিক্কা চক্র গোপনে চালাচ্ছিলেন বাঙালি নিধনের নীল ষড়যন্ত্র অপারেশন সার্চলাইট। ২৫ মার্চ ইয়াহিয়া খান গোপনে ঢাকা ত্যাগ করলে পূর্বপরিকল্পিভাবে সেদিনই মধ্যরাতে শুরু হয় ঘুমন্ত বাঙালির ওপর পাকিস্তানি হানাদারদের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। সেই কালরাতে পৃথিবী দেখেছিলে ভয়াবহ বর্বরোচিত গণহত্যা। ঢাকা পরিণত হয়েছিল মৃত্যুপুরীতে। ইয়াহিয়া ঘোষণা করেছিলেন, ‘এ দেশের মানুষ চাই না, মাটি চাই’। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বাঙালি কণ্ঠরোধ করে দেওয়ার সেই নীলনকশা সফল হয়নি। মাথানত করেনি বাঙালি, মাথানত করেনি বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা। অপারেশন বিগ বার্ড পরিচালনার মাধ্যমে শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তার করার আগেই ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু জাতিকে জানিয়ে দিয়েছিলেন তার শেষবাণী ‘ইহাই হয়তো আমাদের শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছ, যাহার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও’। এই বার্তা আমাদের হাজার বছরের আশা-আকাঙ্ক্ষা, বাংলার দেশপ্রেমিক জনগণ যা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে। অবশেষে দীর্ঘ ৯ মাসের সংগ্রাম সংকুল পথ অতিক্রম করে লাখো প্রাণের বিনিময়ে বাঙালি ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার সূর্য, আমাদের সার্বভৌমত্ব এবং একটি দেশ বাংলাদেশ।

মার্চ বাঙালির প্রেরণা, ঐতিহ্যে লালিত চেতনার মাস, আমাদের অন্তর্নিহিত শক্তির অপরিমেয় উৎস। এই প্রেরণা ও চেতনার কালবাহী হয়ে শানিত হয়ে উঠুক আমাদের জাতীয় জীবন। সব অন্যায়, অবিচার, অত্যাচার, নিপীড়ন, সিন্ডিকেট চক্র, দুর্নীতিবাজ ও যাবতীয় সব অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে স্মারক হিসেবে মার্চ হোক আমাদের হাতিয়ার, আমাদের প্রত্যয়। এই প্রত্যয়ে সমৃদ্ধ হোক আগামীর বাংলাদেশ।

লেখক : শিক্ষার্থী, চতুর্থ বর্ষ, বাংলা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close