জি কে সাদিক

  ২৩ নভেম্বর, ২০২১

ফিরে দেখা

প্রতিষ্ঠার ৪৩ বছরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

স্বাধীন দেশে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে কুষ্টিয়ায় অবস্থিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। এই বিদ্যাপীঠটি ২২ নভেম্বর প্রতিষ্ঠার ৪২ বছর পূরণ করে ৪৩তম বছরে পা রাখতে যাচ্ছে। একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বয়স হিসেবে তা মোটেও কম নয়। ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। বর্তমানে আটটি অনুষদের অধীনে ৩৪টি বিভাগে প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থী ও প্রায় ৪০০ শিক্ষক নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির অধীনে ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইআইইআর) নামে একটি ইনস্টিটিউট রয়েছে।

দীর্ঘ এই শিক্ষার যাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে বিদ্যা অর্জন করেছেন, সার্টিফিকেট নিয়ে বের হয়ে গেছেন। দেশে সরকারি-বেসরকারি নানা জায়গা কর্মক্ষেত্রে তারা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলছেন। একইভাবে দেশের বাইরেও অসংখ্য শিক্ষার্থী তাদের মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন, রাখছেন। প্রতিষ্ঠার ৪৩ বছরে এসে বিশ্ববিদ্যালয়টির অর্জন তথা প্রাপ্তির দিক যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সমাজ-রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক পরিসরে যে ভূমিকা রাখার কথা ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়টি নিয়ে যে আশা-আকাক্সক্ষা ছিল, সে বিচারে অনেক অপ্রাপ্তি তথা ব্যর্থতা। ‘মানসম্পন্ন শিক্ষা’ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতোই বৈশ্বিক পরিপ্রেক্ষিতে পিছিয়ে পড়েছে ইবিও।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস অনেক পুরোনো। সেই ব্রিটিশ শাসনামল থেকেই বর্তমান বাংলাদেশ ভূখণ্ডে নানাজন একটি স্বতন্ত্র ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য নানা কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। এই প্রচেষ্টার শুরু ১৯২০ সালে। প্রথম মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী চট্টগ্রামের পটিয়াতে মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য নিয়ে একটি ফান্ড গঠন করেন। পরে ১৯৩৫ সালে মাওলানা শওকত আলি একই নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৪১ সালে ‘মাওলা বক্স কমিটি’ ইউনিভার্সিটি অব ইসলামিক লার্নিং প্রতিষ্ঠার জন্য সুপারিশ করে। ১৯৪৬-৪৭ সালে সৈয়দ মোয়াজ্জেম উদ্দীন কমিটি এবং ১৯৪৯ সালে মাওলানা মুহাম্মদ আকরাম খাঁ কমিটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সুপারিশ করে। এরপর ড. এস এম হোসাইনের সভাপতিত্বে ১৯৬৩ সালের মে মাসে ‘ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন’ নামে একটি কমিশন গঠন করা হয়। এরপর তৎকালীন রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক পরিস্থিতির কারণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজটি আর তেমন এগোয়নি। এই হচ্ছে স্বাধীনতার আগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নানা প্রচেষ্টার একটি সংক্ষিপ্ত বয়ান।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও দীর্ঘ সময় কেটেছে, কিন্তু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নামে স্বতন্ত্র কোনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তেমন দৃশ্যমান তৎপরতা পরিলক্ষিত হয় না। স্বাধীন দেশে ১৯৭৬ সালের ১ ডিসেম্বরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা আসে এবং ১৯৭৭ সালের ২৭ জানুয়ারি অধ্যাপক এম এ বারীকে সভাপতি করে সাত সদস্যের একটি পরিকল্পনা কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি ১৯৭৭ সালের ২০ অক্টোবর একটি রিপোর্ট পেশ করে। এরপর ১৯৭৭ সালের ৩১ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত মক্কায় অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্সের (ওআইসি) উদ্যোগে মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে মুসলিম দেশগুলোয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করা হয়। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে ২২ নভেম্বর ১৯৭৯ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়াউর রহমান কুষ্টিয়া শহর থেকে ২৪ কিলোমিটার ও ঝিনাইদহ থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কের পাশে শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুর এক প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ১৭৫ একর জমিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর করেন। ১৯৮০ সালের ২৭ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয় এবং ১৯৮১ সালের ৩১ জানুয়ারি তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক এ এন এম মমতাজ উদ্দিন চৌধুরীকে প্রথম উপাচার্য নিয়োগ করে দুটি অনুষদের অধীনে চারটি বিভাগের মোট ৩০০ ‘ছাত্র’ নিয়ে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। সেই থেকে পেরিয়েছে ৪২টি বছর।

মাঝে সাবেক সেনাশাসক এরশাদের আমলে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম কুষ্টিয়া থেকে গাজীপুরের বোর্ডবাজারে স্থানান্তর করা হয়। ১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সেখানেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এরপর নানা আন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে আবারও আগের স্থানে ফিরে আসে ইবি। তখন অবকাঠামোগত প্রস্তুতি না থাকায় সাময়িক সময়ের জন্য কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষা কার্যক্রম চলে। ১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ক্যাম্পাসে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। শুরু থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিন্ন ধর্মের শিক্ষার্থী ও ছাত্রী ভর্তি করানো হতো না। এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনগুলো, শিক্ষক ও প্রগতিশীল ব্যক্তিরা আন্দোলন শুরু করেন। সেই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯০ সালে প্রথম নারী শিক্ষক নিয়োগ ও ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষ থেকে ছাত্রী ও অন্যান্য জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে শিক্ষার্থী ভর্তি ও শিক্ষক নিয়োগ শুরু হয়।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ‘জার্নিটা’ বেশ লম্বা। একই সঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়টির বয়স প্রায় অর্ধশতকের কাছাকাছি। বিশ্ববিদ্যালয় বলতে যে ধরনের শিখন-শিক্ষণ, পঠন-পাঠন তথা আন্তর্জাতিক যে ‘লার্নিং সিস্টেম’ তার সঙ্গে তুলনা করলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার মানে অনেক পিছিয়ে আছে। যদি সরকারি আমলা তৈরির হিসেবের কথাই বলি তাহলেও এই বিশ্ববিদ্যালয়টি তার বয়স অনুযায়ী নতুন অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় পিছিয়ে আছে বলতে হয়। অন্যদিকে যদি গবেষণার কথা বলি, তাহলে বলতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়টি যুগের চাহিদা মেটানোর মতো উপযোগী নয়।

গবেষণার ক্ষেত্রে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অনেক পিছিয়ে রয়েছে। এই পিছিয়ে থাকার বড় কারণ হচ্ছে গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকা। এ ছাড়াও রয়েছে গবেষণার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ করতে না পারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি অনুষদের অধীনে চলমান ৩৪টি বিভাগের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি বিভাগ ও অনুষদ থেকে গবেষণা জার্নাল বের হয়। একটি মাত্র ইনস্টিটিউট থেকে যে জার্নাল বের হয় সেটাও নিয়মিত নয়। এ ছাড়া বিভিন্ন বিভাগ ও অনুষদ থেকে যে জার্নালগুলো প্রকাশিত হয়, সেখানে ছাত্রদের জন্য কোনো স্থান নেই। এমনকি একটি মাত্র ইনস্টিটিউট থেকে যে জার্নাল প্রকাশিত হয়, সেখানেও ছাত্রদের কোনো স্থান নেই। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ছাত্র-শিক্ষকদের যৌথ গবেষণা ধারণার চেয়েও অনেক কম। সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিভাগ, অনুষদ এমনকি ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত জার্নালগুলোর কোনো অনলাইন ভার্সন তথা ওয়েব লিংক নেই। ওয়েব লিংক না থাকায় আন্তর্জাতিক জার্নাল লিস্টে এদের কোনো স্থান নেই। তথা ‘স্কোপাস ইনডেক্স’ নেই। নেই কোনো ‘ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর’। তাই এই জার্নালগুলোয় গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করে কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকরা নিজেদের পদোন্নতি বাদে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পরিসরে কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। বর্তমানে বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রসরতায় দেশের প্রথম প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন পিছিয়ে থাকা সত্যিই দুঃখজনক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতের এমন দৈন্যদশা থেকে বের হয়ে আসার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কখনো আন্তরিক উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। আমার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার বয়স পাঁচ বছর। গত পাঁচ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা খাতে যে বাজেট দেওয়া হয়েছে তা গতানুগতি বৈ কিছু নয়। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ৪০০ শিক্ষক ও প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর রয়েছে। এ ছাড়াও এমফিল, পিএইচডি গবেষণা করছেন আরো অনেকে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বাজেট বরাদ্দ মাত্র ৮০ লাখ (২০১৯-২০ অর্থবছরের হিসাবমতে) টাকা। যদি মোট শিক্ষকদের মধ্যে এই বরাদ্দের গড় হিসাব করা হয়, তাহলে মাথাপিছু ২০ হাজার টাকা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের জন্য মাথাপিছু বরাদ্দ মাত্র ২০ হাজার টাকা। যা দিয়ে কেমন গবেষণা হতে পারে তা আর ব্যাখ্যা করা জরুরি মনে করছি না।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়কে যদি মুক্তমত ও গণতান্ত্রিক মতাদর্শ চর্চার অন্যতম জায়গা হিসেবে গণ্য করা হয়, তাহলে দেশের প্রথম প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কোর হয়তো শূন্য থেকে মাইনাস পয়েন্ট হবে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এখনো পর্যন্ত অধ্যাদেশে ছাত্র সংসদের বিধান নেই। ছাত্র সংসদের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত প্রশাসন থেকে শুরু করে বর্তমান প্রশাসন পর্যন্ত কেউই কখনো ইতিবাচক উদ্যোগ নেয়নি। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতি থেকে শুরু করে ছাত্রদের ন্যায্য যেকোনো দাবি-দাওয়া আদায়ের ক্ষেত্রে প্রশাসনের করুণাময় দৃষ্টির দিকে তাকাতে হয়। যখন যে দল ক্ষমতায়, সে দলের ছাত্র সংগঠনের প্রভাবে, বাহুবলে ও অস্ত্রের দাপটে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সব সময় নিজের অধিকারের বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটে থাকতে বাধ্য হন। হলগুলো দখলদারিত্ব মুক্ত করা নিয়ে কোনো প্রশাসনই আন্তরিকতা দেখায়নি। যায় ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিজের ‘মাথা’ বন্ধক রেখে হলে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।

তথ্যপ্রযুক্তির যুগের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রযুক্তিগত উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কতটা সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারবে, তা নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা বাহুল্য। দুঃখজনক সত্য হচ্ছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ৪৩ বছরে এসেও তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে পারেনি। সার্বিক দিক থেকে তো দূরে থাক খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটটিও ঠিকমতো হালনাগাদ হয় না। ওয়েবসাইটে নেই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য। এমনকি শিক্ষকদের কোনো প্রোফাইলও বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নেই। শিক্ষার্থীদের নেই কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল। যার ফলে এখানে যেসব শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করেন, তারা উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অনেক সুযোগ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত। সব মিলিয়েই চলছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম।

প্রত্যাশাপ্রাপ্তির হিসেবের অঙ্কে ফল মিষ্টি হবে কি না, তা নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় প্রশাসনের আন্তরিকতা কতটা রয়েছে। ভালোর কোনো শেষ নেই। আশা রাখি প্রিয় বিদ্যাপীঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সেই সীমাহীন ভালোর দিকেই এগিয়ে যাবে।

লেখক : প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close