সাজু সরদার

  ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১

দৃষ্টিপাত

অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে পর্যটন : প্রাসঙ্গিক বাস্তবতা

২৭ সেপ্টেম্বর পর্যটনশিল্পের জন্য একটি বিশেষ দিন। ১৯৮০ সালের পর থেকে এদিনেই বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত হয়ে আসছে। ১৯৭০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থা (UNWTO) আইন গৃহীত হয়। বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতির ১ম, ২য় বা কোনো কোনো দেশে ৩য় ধাক্কায় যখন বাংলাদেশসহ বিশ্ব পর্যটনশিল্প বিপর্যস্ত, সেই মুহূর্তে ২০২১ সালে এ দিবসটি ভিন্নমাত্রা যুক্ত করেছে। জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থা (UNWTO) এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ঠিক করেছে ‘Tourism for Inclusive Growth’ যেটাকে সংক্ষেপে আমরা T4IG বলতে পারি। বাংলাদেশের জাতীয় পর্যটন সংস্থা ‘বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড’ বিশ্ব পর্যটন সংস্থার সঙ্গে মিল রেখে বাংলায় ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে পর্যটন’ প্রতিপাদ্যটি ঠিক করেছে। বিশ্ব পর্যটন সংস্থার মতে, করোনা মহামারি সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। উন্নত বা উন্নয়নশীল সব দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সমাজের অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, তবে করোনা-পরবর্তী সময়ে পর্যটনশিল্প সামাজিক-অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও প্রবৃদ্ধি অর্জনে সাহায্য করবে। পর্যটনের মাধ্যমেই উন্নত, অনুন্নত, ধনী, গরিব সবাইকে সুবিধা ন্যায্য এবং প্রদান করে দারিদ্র্য ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। আর এই ন্যায্য এবং সুবিধার সমবণ্টন, এক কথায় সর্বক্ষেত্রে বৈষম্যহীনতাই অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির মূল কথা।

Organization of Economic Co-Operation and Development (OECD) ২০১৭ সাল থেকে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি (Inclusive Growth) নিয়ে কাজ করছে। বর্তমানে বিশ্বায়ন ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যাপক প্রসারের ফলে আমরা যেমন বিভিন্ন কল্পনাতীত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছি, তেমনি সমাজের মানুষ হিসেবে আমরা সবাই, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সরকার প্রতিনিয়ত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি। সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে ব্যাপকহারে বৈষম্য বাড়ছে। তাই, শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বা জিডিপিকেন্দ্রিক চিন্তা এই বৈষম্য আরো বাড়িয়ে তুলবে। যার ফলে সমাজের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সুতরাং, এখন সময় এসেছে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিয়ে চিন্তা করার যার মূল উদ্দেশ্য জনকল্যাণ, প্রাণ ও পরিবেশকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যবসায়িক সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে সমতার ভিত্তিতে সবার (বিশেষ করে দরিদ্র শ্রেণির) জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে, সরকার ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি অংশীজনদের আস্থা স্থাপন করা ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করা।

একটি প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই আসতে পারে- অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির পার্থক্য কী বা অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি কেন দরকার? অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। তবে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে সমাজের সব শ্রেণির মানুষের জন্য সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং সব আর্থিক ও অন-আর্থিক সুযোগ-সুবিধা সমাজের সব মানুষ সমানভাবে উপভোগ করবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি শুধু বৈষম্য হ্রাস করে না বরং নারী-পুরুষ, শিশু, যুবক, বৃদ্ধ থেকে শুরু করে, শহর, গ্রাম, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এমনকি সরকারের কল্যাণ ও অন্তর্ভুক্তির দিকেও মনোনিবেশ করে, যাতে সামজিক ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি টেকসই হয়। বিশ্বায়ন এবং ডিজিটালাইজেশনের এই যুগে কোনো পক্ষকেই বাদ দিয়ে প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব নয়। কারণ, সবাই বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ ও বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। সুতরাং, সব বাধাকে অতিক্রম এবং চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করার জন্য সবার অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করে বিনিয়োগের মাধ্যমে উদ্ভাবন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং আর্থসামাজিক অবকাঠামো টেকসই ও শক্তিশালী করতে হবে। অন্তর্ভুক্তিমূলকতা নিশ্চিত করা না গেলে কোনো ব্যবস্থাই টেকসই হবে না। আর পর্যটনশিল্পের মাধ্যমেই সবার অন্তর্ভুক্তিমূলকতা নিশ্চিত করে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব।

OECD অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির অর্জনের জন্য চারটি প্রধানসূচক ও ২৪টি সহসূচক নির্ধারণ করেছে। বিশ্বব্যাপী পর্যটনশিল্পের অবদান বিশ্লেষণ করে এটা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলা যায় যে, পর্যটনশিল্প প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সবগুলো সূচক পূরণ করে সামনের সারিতে থেকে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। OECD নির্ধারিত প্রতিষ্ঠিত সূচকগুলোর মধ্যে প্রথম প্রধান সূচক হলো, প্রবৃদ্ধি অর্জন ও প্রবৃদ্ধি থেকে প্রাপ্ত সুবিধা সবার মধ্যে সমবণ্টন (Growth and ensuring equitable sharing of benefits from growth)। এই সূচকের গুরুত্বপূর্ণ সহসূচকগুলো হলো, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং দারিদ্র্যদূরীকরণে ভূমিকা। বিশ্বভ্রমণ ও পর্যটন কাউন্সিলের (WTTC) তথ্য মতে, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল +১১.৬ ও +৬.৮ ভাগ। অন্যদিকে, কর্মসংস্থানের হার ছিল দেশের মোট কর্মসংস্থানের ৩.৯ এবং ২.৯ শতাংশ। এ ছাড়া দারিদ্র্যদূরীকরণে পর্যটনের ভূমিকার জন্য দরিদ্রের সপক্ষে পর্যটন (Pro Poor Tourism) এবং গোষ্ঠীভিত্তিক পর্যটন (Community Based Tourism) বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত ধারণা। পর্যটনশিল্প সবার জন্য আয়ের ব্যবস্থা করে এবং ওই আয় দিয়ে বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী নিজেদের জীবন ধারণ, সন্তানদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা সর্বোপরি নিজেদের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন ঘটায়। বাংলাদেশের প্রধান প্রধান (শহরকেন্দ্রিক) পর্যটন কেন্দ্রের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটন কেন্দ্র ও তার আশপাশের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা বিশ্লেষণ করলেই এ চিত্র সবার দৃষ্টিতে খুব সহজেই ধরা পড়ে।

অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকর বাজার (Inclusive and well-functioning markets) অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির দ্বিতীয় সূচক যার উল্লেখযোগ্য সহসূচকগুলো হলো- কর্মসংস্থান সৃষ্টি বিশেষ করে নারীদের কর্মসংস্থান, খণ্ডকালীন কর্মসংস্থান, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার এবং ক্ষুদ্র ও মধ্যমপর্যায়ের ব্যবসার প্রসার। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পের অবদান আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী তিন বছরে বাংলাদেশে অন্তত ১৫টি তারকা মানের হোটেল, ৬টি আন্তর্জাতিকমানের পর্যটন কেন্দ্র, ৩টি বিশেষ ট্যুরিস্ট জোন তৈরি হবে, যেখানে বিপুলসংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। অন্যদিকে, এ খাতে নারীদের কর্মসংস্থানের অবদানও স্বীকৃত। বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারীরা বাড়িতে বসেই পর্যটকদের কাছে বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন সো-পিস বা স্যুভেনির সামগ্রী তৈরি করে এবং পর্যটকরা ওই স্যুভেনি কেনার মাধ্যমে পর্যটন স্থানের স্মৃতি ধরে রাখার পাশাপাশি নারীদের জন্য আয়ের সুযোগ করে দেন। এ ছাড়া বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র, হোটেল, মোটেল, রিসোর্টে রিসেপশনিস্ট বা ফ্রন্ট ডেস্ক অফিসার/ম্যানেজার হিসেবে শিক্ষিত নারী গ্র্যাজুয়েটদের চাহিদা বর্তমানে তুঙ্গে। খণ্ডকালীন কর্মসংস্থানের বিষয়ে আলোকপাত করতে গেলে দেখা যায় বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পই শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন কাজের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ক্ষেত্র। পর্যটনশিল্পই শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি ট্যুর গাইড, অনুবাদক, ফটোগ্রাফারসহ বেশ কিছু পেশায় কাজের সুযোগ দিয়ে থাকে। শিক্ষার্থীরা নিজেরা ট্যুর এজেন্সি ও গ্রুপ ট্যুরও পরিচালনা করতে পারে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেসরকারিভাবে অসংখ্য থিম পার্ক, পিকনিক স্পট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যেগুলো ক্ষুদ্র ও মধ্যম পর্যায়ের ব্যবসায়ে পড়ে। তা ছাড়া পর্যটন কেন্দ্রকেই কেন্দ্র করে অগণিত ক্ষুদ্র ও মধ্যম পর্যায়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (রেস্টুরেন্ট, স্ট্রিট ফুড, সি-ফুড, সো-পিস, গার্মেন্টসামগ্রী ইত্যাদি) দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গড়ে উঠেছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে দেশে এমন কোনো বেসরকারি পর্যটন কেন্দ্র খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে সিসি ক্যামেরা, ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ নেই বা যাদের নিজস্ব ওয়েব পোর্টাল কিংবা ফেসবুক পেজ নেই। তবে, এসব ক্ষেত্রে সরকারি পর্যটন কেন্দ্রগুলো এখনো বেশ পিছিয়ে আছে এবং সব মিলিয়ে পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে, উন্নত তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্যভাবে পিছিয়ে আছে।

অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনের তৃতীয় প্রধান সূচক- ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধির সমান সুযোগ ও ভিত্তি (Equal opportunities and foundations of future prosperity) ও চতুর্থ প্রধান সূচক শাসন পদ্ধতি (Governance) সরাসরি পর্যটনশিল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত না হলেও এ দুটি সূচক অর্জনে পর্যটনশিল্প পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে। তৃতীয় সূচকে তরুণ জনগোষ্ঠীর শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানে জোর দেওয়া হয়েছে। ঝরে পড়া রোধ করে, তরুণ জনগোষ্ঠীকে যথোপযুক্তভাবে উচ্চশিক্ষা দিতে হবে অথবা কর্মমুখী শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। এদিক থেকে পর্যটন কিছুটা সরাসরি ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশে বর্তমানে উচ্চশিক্ষার হার দিন দিন বাড়ছে। আর পর্যটনশিক্ষার প্রসারের জন্য এবং এ খাতের জনসম্পদের চাহিদা পূরণের জন্য সরকার গত তিন বছরে দেশের ৬টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যটনবিষয়ক শিক্ষা চালু করেছে। এ ছাড়া দেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোতে এ-বিষয়ক কর্মমুখী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। এসব পদক্ষেপের আলোকে বলা যায়, ভবিষ্যতে পর্যটন খাতের মাধ্যমে জনসম্পদের চাহিদা পূরণ হবে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির তৃতীয় সূচকের সহসূচক বিজ্ঞানভিত্তিক ও কর্মমুখী শিক্ষা চালু, তরুণ জনগোষ্ঠীর শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের হারের অনুপাত, শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার ইত্যাদি সফলভাবে অর্জিত হবে। প্রবৃদ্ধির প্রথম তিনটি প্রধান সূচক অর্জিত হলে, খুব সহজেই চতুর্থ সূচকটিও অর্জিত হবে। কারণ, পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের সুফল যখন জনগণ পাবে, তখন স্বাভাবিকভাবেই সরকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনগণের আস্থা গড়ে উঠবে। বর্তমানে, করোনা পরিস্থিতিতে পর্যটনশিল্পের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকার এক হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে এবং রেস্টুরেন্টের ভ্যাট কমানো হয়েছে। এ ছাড়া অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে অনেক বেশি উদ্যোগী ও আগ্রহী। পর্যটনশিল্পের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে নিশ্চিতভাবেই বলা যায় জনগণ ও পর্যটনসংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সরকারের প্রতি আস্থা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির চতুর্থ সূচক অর্জনের প্রধান শর্ত।

পর্যটনশিল্পের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির সবগুলো সূচক অর্জন এবং আর্থসামাজিক সব ক্ষেত্রেই টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব। তাই, সবাইকে বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পের উন্নয়নের জন্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতে সচেষ্ট হতে হবে।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক

ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close