স্বপ্নের নতুন ঠিকানা
ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার এ সরকার। তাদের অন্যতম প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল দেশে কর্মসংস্থানের নতুন নতুন দুয়ার উন্মোচন করা। যাতে দেশ দ্রুত অর্থনৈতিক মুক্তির পথে ধাবিত হতে পারে। বহুল প্রত্যাশিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সিলিকন সিটির একটি অন্যতম উদাহরণ। ২০২১ সালের মধ্যে এ সিটি চালু হবে। এতে প্রযুক্তিনির্ভর প্রায় ১৪ হাজার তারুণ্যের জন্য মিলবে স্বপ্নের নতুন ঠিকানা। এ ছাড়া বরেন্দ্রভূমি রাজশাহীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও বড় ধরনের অবদান রাখবে নির্মাণাধীন এ প্রকল্প। কারণ শুধু এ সিলিকন সিটির মাধ্যমেই খুলে যাবে উন্নয়নের বিশাল দিগন্ত। বঙ্গবন্ধু সিলিকন সিটির মাধ্যমে বাংলাদেশকে নতুন করে চিনবে পুরো বিশ্ব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক চেষ্টায় এ স্বপ্ন এখন শুধু রাজশাহী নয়, পুরো বাংলাদেশের দুয়ারে কড়া নাড়ছে।
আমরা জানি, ভারতের ব্যাঙ্গালুরু, আমেরিকার সানফ্রান্সিসকো ও ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন সিটির মতো বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কেও তৈরি হবে বিশ্বমানের প্রযুক্তিপণ্য। গতকাল প্রতিদিনের সংবাদে ‘বঙ্গবন্ধু সিলিকন সিটি : রাজশাহীতে খুলবে কর্মের নতুন দ্বার’ শীর্ষক একটি বিশেষ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রত্যাশিত বঙ্গবন্ধু সিলিকন সিটির মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্য দিয়ে খুলে যাবে হাজারো প্রযুক্তিনির্ভর তারুণ্যের স্বপ্নের দুয়ার। নির্মাণ শেষে এখানে ১৪ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে। আশা করা হচ্ছে, রাজশাহীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বড় ধরনের অবদান রাখবে নির্মাণাধীন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সিলিকন সিটি’। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ সিলিকন সিটির মাধ্যমে শুধু রাজশাহী নয়, বরং খুলে যাবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন দিগন্ত। এতে বিপুলসংখ্যক তরুণ উদ্যোক্তা সৃষ্টি হবে। যারা তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নসহ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিনির্মাণে নতুন নতুন ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া বিভিন্ন সূত্র থেকে আমরা জেনেছি, সরকার দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরসহ সারা দেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক নির্মাণ করবে, যার মাধ্যমে দেশে তৈরি হবে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ বিপুল জনশক্তি।
২০১২-১৩ অর্থবছরে রাজশাহীতে হাইটেক পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে যার নাম দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু সিলিকন সিটি। রাজশাহী তথা এ অঞ্চলের মানুষের তথ্যপ্রযুক্তির এ স্বপ্ন এবার বাস্তবায়ন হতে চলেছে। শুধু এইটুকু বললেই হবে না, এটিই হবে দেশের প্রথম সিলিকন সিটি। ২০২১ সালের মধ্যে যেখানে বিশাল কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে প্রযুক্তিনির্ভর হাজারো তারুণ্যের স্বপ্ন। ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই দেশকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছে যাবে। বঙ্গবন্ধু সিলিকন সিটির মাধ্যম এ যাত্রার যে বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে, তার ধারাবাহিকতা যেন অব্যাহত থাকে। যাতে দেশের জীবনমান বৃদ্ধিসহ বেকারত্বের অবসান ঘটে, পাশাপাশি সৃষ্টি হবে নতুন নতুন কর্মসংস্থান। প্রযুক্তি হাজারো তারুণ্য খুঁজে পাবে স্বপ্নের নতুন ঠিকানা।
"