প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

গাজায় বেসামরিকদের সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব ইসরায়েলি বাহিনীর

গাজা উপত্যকা থেকে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে দেওয়ার একটি পরিকল্পনা যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার কাছে পেশ করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু জানান, গাজা ভূখণ্ডে লড়াই করার জন্য পুরো জায়গাটা থেকে বেসামরিক মানুষকে সরিয়ে দেওয়ার একটা পরিকল্পনা পেশ করেছে আইডিএফ।

কিন্তু কীভাবে মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হবে, তারা কোথায় যাবে, সে সম্পর্কে কিছু বলেননি তিনি। তবে বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, অধিকৃত এলাকায় নিরাপদে মানবিক ত্রাণ পৌঁছানোর একটি পরিকল্পনা যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় সামরিক অভিযান চালানোর জেরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনার মুখে পড়েছে ইসরায়েল। কারণ, ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সেখানে ১৪ লাখ ফিলিস্তিনি লড়াই থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়েছেন।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যার পাশাপাশি ২৪০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে ধরে নিয়ে যায়। অভূতপূর্ব সেই হামলার পর সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান সেই অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ২৯ হাজারেরও বেশি মানুষ, আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭০ হাজার। এ ছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর গোলায় বাড়িঘর হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন আরো লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রতিনিয়ত ইসরায়েলকে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু ইসরায়েল তাতে কর্ণপাত করছে না।

হিজবুল্লাহের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে : এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালেন্ত পৃথক এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘হামাসের সঙ্গে ইসরায়েল যদি সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়, তার প্রভাব লেবাননে হিজবুল্লাহের ওপর পড়বে না। ইসরায়েল হিজবুল্লাহের ওপর আক্রমণ চালিয়ে যাবে। তিনি বলেছেন, যদি কেউ মনে করেন, দক্ষিণে বন্দিবিনিময় নিয়ে আমরা কোনো সমঝোতায় এলাম, তাহলে অন্য জায়গায় গোলাগুলি বন্ধ হয়ে যাবে এ রকম ভাবার কোনো কারণ নেই। দক্ষিণে যাই হোক না কেন, তার সঙ্গে অন্য অঞ্চলের সম্পর্ক নেই। আমরা লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত লড়াই চালাব।

এ মাসেই লেবানন থেকে রকেট হামলা হয়েছে। সেই জায়গায় সেনা শিবিরে গিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। অক্টোবরের প্রথম থেকে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। সীমান্তের দুই দিকেই হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। হিজবুল্লাহ হলো লেবাননে ইরানের মদদপুষ্ট শিয়া রাজনৈতিক দল এবং জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেকগুলো দেশ তাদের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close