প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

গাজায় মা-বাবা থেকে বিচ্ছিন্ন ১৭ হাজার শিশু

এসব শিশুর প্রত্যেকেরই হৃদয় ভেঙে দেওয়ার মতো গল্প রয়েছে : ইউনিসেফ

ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান সংঘাতে বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আনুমানিক ১৭ হাজার শিশু। এ ছাড়া সংঘাতের কারণে উপত্যকাটির শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়ছে। জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এ তথ্য জানিয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে উপত্যকাটির শিশুরা। শুক্রবার ইউনিসেফের মুখপাত্র জোনাথন ক্রিক্স বলেন, গাজায় বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন শিশুদের প্রত্যেকেরই হৃদয় ভেঙে দেওয়ার মতো একটি করে গল্প রয়েছে।

প্রায় চার মাস ধরে চলা হামলায় পুরো গাজাই তছনছ হয়েছে। উপত্যাকটিতে অবরোধ করে রেখেছে ইসরায়েল। এতে সেখানে দেখা দিয়েছে খাবার, পানি, জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের তীব্র সংকট। এমন পরিস্থিতিতে গাজার শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব পড়ছে।

সংঘাত শুরুর আগে গাজার পাঁচ লাখের বেশি শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যসহায়তার প্রয়োজন ছিল বলে জানিয়েছিল জাতিসংঘ। বর্তমান পরিস্থিতে জোনাথন ক্রিক্সের ভাষ্য, এখন গাজার সব শিশুর এ সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। এই সংখ্যা ১০ লাখের বেশি। চলমান সংঘাতের সঙ্গে শিশুদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তারপরও তারা যে দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে- এমন পরিস্থিতিতে কোনো শিশু থাকতে পারে না।

এদিকে, হামাসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি।

শনিবার লেবাননে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন হামাসের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ওসামা হামদান।

তিনি বলেন, ইসরায়েল, কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের প্রস্তাবিত চুক্তিকাঠামোটি পর্যালোচনা করছেন হামাসের নেতারা। তবে এ বিষয়ে হামাসের অবস্থান ঘোষণার জন্য আরো সময় দরকার বলে জানান হামদান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, হামাস বারবার বলেছে, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে এই বর্বর আগ্রাসন বন্ধের জন্য তারা যেকোনো উদ্যোগ নিয়ে আলোচনায় প্রস্তুত।

ফ্রান্সের প্যারিসে মধ্যস্থতাকারীদের তৈরি খসড়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব হামাস হাতে পেয়েছে বলে নিশ্চিত করেন হামদান। তবে তিনি বলেন, চুক্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সমঝোতা এখনো হয়নি। প্রস্তাবটিতে কিছু ঘাটতি আছে।

ওসামা হামদান বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণ যে আগ্রাসনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অবসান ঘটানোর আকাঙ্ক্ষার আলোকে হামাস শিগগির অবস্থান ঘোষণা করবে।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায়। সরকারি তথ্যের আলোকে এএফপির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইসরায়েলে হামাসের এ হামলায় প্রায় ১ হাজার ১৬০ জন নিহত হন। তাঁদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে হামাস প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে। জিম্মিদের মধ্যে শতাধিক ব্যক্তিকে গত নভেম্বরের শেষের দিকের এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতির সময় ছেড়ে দেয় হামাস।

ইসরায়েল বলেছে, গাজায় এখনো ১৩২ জন জিম্মি রয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close