সাইক্লোন মাওয়ারের কারণে জাপানে প্রবল বর্ষণে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ শনিবার (৩ জুন) হাজার হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

বার্তা সংস্থাগুলোর খবরে বলা হয়, সম্প্রতি সাইক্লোন মাওয়ার আঘাত হেনেছে জাপানে। তবে সাইক্লোনের মূল অংশের চাপ এখনো স্থলভাগে পড়েনি। এটি একটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ে পরিণত হয়েছে। এর ফলে জাপানে প্রবল বর্ষণ হচ্ছে। প্লাবিত হয়েছে জাপানের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। একজন নিহত ও দুজন নিখোঁজ রয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ৩০ জন।

বন্যার কারণে মধ্যআইচি অঞ্চলের টোয়োহাশিতে কাজ করছে উদ্ধারকারী দল। ওই এলাকার লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া ও নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য শুক্রবার স্থানীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। শহরের একজন কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া গাড়িতে আনুমানিক ৬০ বছর বয়সি এক ব্যক্তিকে পাওয়া গেছে। তিনি মারা গেছেন।

কর্মকর্তারা বলেছেন, পশ্চিম ওয়াকায়ামা অঞ্চলে নিখোঁজ একজন পুরুষ এবং একজন মহিলার সন্ধান আবার শুরু করেছেন। ফায়ার অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি জানিয়েছে, শনিবার সকাল পর্যন্ত ছয়জন গুরুতর আহত হয়েছেন এবং ২৪ জন সামান্য আহত হয়েছেন।

জাপানের মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলে সতর্কসংকেত অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে বন্যার পানি ভয়াবহরকম বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে টোকিও কাছাকাছি এলাকাগুলো। ওই এলাকায় নতুন সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

টোকিওর কাছে আইচির তোয়োহাশি এবং কোশিগায়াসহ বেশ কটি শহর ও এলাকায় ২৪ ঘণ্টা মুশলধারায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এটা তাদের দেখা রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি। বৃষ্টির পানি ও ঝড়োহাওয়া সব ভাসিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে। জাপান আবহাওয়া সংস্থা বাসিন্দাদের ভূমিধস ও বন্যার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি জানিয়েছে, টোকিওর কাছাকাছি অঞ্চলে প্রায় ৪ হাজার পরিবার বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের শিকার হচ্ছে। জাপান রেলওয়ের মতে, টোকিও এবং নাগোয়ার মধ্যে শিনকানসেন বুলেট ট্রেন স্থগিত রয়েছে। তবে সরকারি সম্প্রচার কেন্দ্র এনএইচকে বলেছে, তারা দুপুরের দিকে আবার কাজ শুরু করেছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন জাপান

ও এই অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের ঝুঁকি তীব্র করছে। ২০২১ সালে প্রবল বৃষ্টির ফলে আটামিতে একটি বিধ্বংসী ভূমিধসের ঘটনা ঘটে, যাতে ২৭ জন নিহত হন।

"