প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৩ এপ্রিল, ২০২১

মিনিয়াপোলিসে ফের পুলিশের গুলি যুবক নিহত

যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে ফের পুলিশের গুলিতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গত রবিবার ওই ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর জায়গা থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে ওই ব্যক্তিকে গুলি করা হয়। খবর রয়টার্স ও আলজাজিরা অনলাইনের।

মিনিয়াপোলিসের ব্রুকলিন সেন্টার এলাকায় ওই ব্যক্তিতে পুলিশ গুলি করে হত্যা করে। নিহত ব্যক্তির স্বজনরা জানিয়েছেন, তার নাম ডন্টে রাইট (২০)। ব্রুকলিন সেন্টার পুলিশ ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, দুপুর ২টার কিছু আগে রাস্তায় ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করায় কর্মকর্তারা ওই ব্যক্তির গাড়ি থামায়।

পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের উদ্যোগ নিলে সে গাড়ির ভেতর ঢুকে পড়ে। তখন একজন পুলিশ কর্মকর্তা গুলি ছোড়ে ওই ব্যক্তিকে আহত করে। আহত অবস্থায় সে গাড়ি চালিয়ে কয়েক ব্লক পর্যন্ত যায় এবং আরেকটি গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এরপর তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনার পর শতাধিক লোক রাস্তায় নেমে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে। তাদের একজনের হাতে প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ছিল ‘জর্জ ফ্লয়েডের জন্য ন্যায়বিচার’।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একপর্যায়ে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ তৈরি হলে পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে দুজন আহত হয় যাদের মধ্যে একজনের রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছোড়ার জন্য প্রস্তুতি নিলে কিছু বিক্ষোভকারী সেখান থেকে সরে যান। তবে কোনো টিয়ার গ্যাস ছোড়া হয়নি। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়িতে পাথরের টুকরা ছুড়েছেন। টুইটারে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়ির ওপর লাফালাফি করছে।

জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চৌভিনের বিচার কয়েকদিন আগে শুরু হওয়ার পর থেকে মিনিয়াপোলিসের পরিস্থিতি উত্তেজনাকর অবস্থায় রয়েছে। গত বছরের মে মাসে ফ্লয়েডের গলায় চৌভিন ৯ মিনিট ধরে হাঁটু চেপে রাখার পর তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রে ও পরবর্তী সময়ে সারা বিশ্বে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের ৩০টির বেশি শহরে বিক্ষোভ দমনে কারফিউ জারি করতে হয়। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে বর্ণবাদী বিভাজনের।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close