আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

মোদি ‘শান্ত, ধার্মিক’: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার জন্য ‘অসামান্য কাজ’ করছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি খুবই শান্ত ও ধার্মিক। গত মঙ্গলবার দিল্লি ছাড়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর অনেক প্রশংসা করলেও দিল্লি ও ওয়াশিংটনের যৌথ বিবৃতিতে গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পেয়েছে ‘স্বাধীনতার গুরুত্ব’, ‘সব নাগরিকের সমান অধিকার’, ‘মানবাধিকার’, ‘আইনের শাসনের’ মতো বিষয়গুলো। কূটনীতিকরা বলছেন, ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প মোদিকে ধর্মীয় উদারতার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরলেও যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের চাপেই উপরোক্ত বিষয়গুলো রাখতে হয়েছে দিল্লিকে। ট্রাম্প মুখে না বললেও বিষয়গুলো নিয়ে ভারতের সাম্প্রতিক ভূমিকায় মার্কিন ‘উদ্বেগ’ এভাবেই জায়গা করে নিল যৌথ কূটনৈতিক দলিলটিতে।

এর তিন দিন আগে ওয়াশিংটন থেকে জানানো হয়েছিল, সিএএ-এনআরসি নিয়ে নিজেদের উদ্বেগের বিষয়টি ভারতকে জানাবেন ট্রাম্প। জনসভায়ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে সরব হবেন। তবে ভারত সফরে প্রকাশ্যে সে পথ মাড়াননি ট্রাম্প। উল্টো ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা নিয়ে মোদির ভূমিকার প্রশংসাই করেছেন। জানিয়েছেন, সিএএ নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে কোনো আলোচনাই হয়নি। তার থাকাকালীনই দিল্লিতে চলা হিংসা নিয়েও একইভাবে বলেন, তিনি এ ব্যাপারে শুনেছেন ঠিকই, কিন্তু বিষয়টি নিতান্তই ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ’। ভারত সরকার সিএএ নিয়ে নিজের দেশের জন্য ঠিক সিদ্ধান্ত নেবে বলেই ট্রাম্প মনে করেন। সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়টি নিয়ে মোদি অসাধারণ কাজ করছেন। তিনি এ ব্যাপারে উদার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই চলেন। অন্য অনেক জায়গায় থেকে ভারতের পরিস্থিতি এ ব্যাপারে ভালো।’

এর আগে সকালে হায়দরাবাদ হাউসে দ্বিপক্ষকীয় বৈঠকের পর দেওয়া বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার ক্ষেত্রে আমাদের স্মরণ রাখতে হবে যে, দুই দেশই গণতন্ত্র, সংবিধানের ঐতিহ্যকে মূল্য দিয়ে থাকে। আমাদের সংবিধান ব্যক্তি স্বাধীনতা, আইনের শাসন ও স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত করে।’

কূটনীতিকরা বলছেন, ট্রাম্পের সফরে উল্লেখযোগ্য প্রাপ্তি বলতে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে কয়েকটি চুক্তি। সেটাও ৩৫৩ কোটি ডলারের বিনিময়ে কিনতে হয়েছে ভারতকে। বড়মাপের বাণিজ্যচুক্তি করার আশ্বাস ট্রাম্প দিলেও তা নিয়ে কোনো সময়সীমা নেই। বাকি পুরোটাই বন্ধুত্বের ছবি তুলে ধরা হয়েছে সাউথ ব্লকের পক্ষে। এ বছরেই আমেরিকায় নির্বাচন। মোদির তৈরি করা মঞ্চ থেকে ট্রাম্প ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন ভোটারদের মন জয়ের জন্য প্রচার চালিয়েছেনÑ এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close