আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮

‘ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হতে পারেন ট্রাম্প!’

ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাকে কারাগারেও যাওয়া লাগতে পারে। কেননা, নির্বাচনী প্রচারণায় লোকজনের মুখ বন্ধ রাখতে ঘুষ দেওয়ার মতো ঘটনা আইনের লঙ্ঘন। এরই মধ্যে তার সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেনের এ ধরনের কর্মকান্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন’র সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য জেরল্ড ন্যাডলার।

ডোনাল্ড ট্রাম্প গত শুক্রবার নিউইয়র্কের প্রসিকিউটররা মাইকেল কোহেনের বিরুদ্ধে শাস্তির মেয়াদের বিষয়ে একমত হয়েছেন। আগামী বুধবার এই সাজা ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনী প্রচারণার আর্থিক আইন, কর ফাঁকি ও কংগ্রেসকে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার কারণে ট্রাম্পকে কারাদন্ড পাওয়া উচিত বলে মনে করেন প্রসিকিউটররা।

মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের তদন্তে উঠে এসেছে, ট্রাম্পের নির্দেশনায় কোহেন দুই নারীকে টাকা দেন। ওই নারীদের সঙ্গে ট্রাম্পের যৌন সম্পর্ক ছিল এবং তা সম্পর্কে কথা না বলতেই এই টাকা দেওয়া হয়। যা নির্বাচনী প্রচারণার আর্থিক নীতির লঙ্ঘন। তদন্তকারীরা কোহেনের চার বছর কারাদন্ডের দাবি জানিয়েছেন।

তদন্তে নতুন এই অগ্রগতির ফলে নতুন করে বিপাকে পড়লেন ট্রাম্প। কারণ কোহেন প্রায় এক দশক ধরে তার আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০১৭ সালের মার্চে মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়ে তদন্ত নিয়ে ট্রাম্প প্রকাশ্যে বারবার তার আইন কর্মকর্তাদের সমালোচনা করেন। তখন থেকে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা শিবির ও মস্কোর মধ্যে সম্ভাব্য যোগাযোগের বিষয়ে প্রমাণ অনুসন্ধান শুরু করেন বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুলার। আইন মন্ত্রণালয়ের তদারকিতে বিস্তৃত এই তদন্তের কারণে ট্রাম্পের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীর বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close