আন্তর্জাতিক ডেস্ক
কাতালান প্রেসিডেন্ট পদে ফেরার সম্ভাবনা নাকচ পুজদেমনের
বেলজিয়ামে পালিয়ে থাকা কার্লোস পুজদেমন কাতালোনিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে ফেরার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। স্পেনের কারাগারে বন্দি স্বাধীনতাপন্থি নেতা জর্ডি সানচেজের পক্ষে তিনি এ ঘোষণা দিলেন বলে খবর বিবিসির। গত বছরের অক্টোবরে স্বাধীনতার প্রশ্নে অনুষ্ঠিত এক গণভোটের সূত্র ধরে স্পেন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘোষণা দেওয়া পুজদেমন পরে আরো কয়েক সহকর্মীসহ বেলজিয়াম চলে যান। স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া কাতালোনিয়ার স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নিয়ে, আঞ্চলিক সরকারকে বরখাস্ত করে সেখানে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দেয় মাদ্রিদের কেন্দ্রীয় সরকার। গণভোটকে অবৈধ অ্যাখ্যা দেওয়া স্পেনের আদালতে কাতালান নেতাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে বিচার শুরু হয়।
নতুন আঞ্চলিক নির্বাচনেও স্বাধীনতাপন্থিরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় পুজদেমনের ফের প্রেসিডেন্ট পদে ফেরার সুযোগ তৈরি হয়। যদিও স্পেনের সরকার বলেছে, শপথ নিতে বার্সেলোনা এলেই গ্রেফতারের মুখে পড়তে হবে সাবেক এ কাতালান নেতাকে। এ নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই পুজদেমন প্রেসিডেন্ট পদে ফেরার সম্ভাবনা নাকচ করলেন। ‘আঞ্চলিক প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে আমি আমার প্রার্থীতাকে এগিয়ে নেব না’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক ভিডিও পোস্টে বলেন ৫৫ বছর বয়সী এ কাতালান নেতা। রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটাতেই এ সিদ্ধান্ত, জানান তিনি। পুজদেমন পরে আরো একটি ভিডিও লিংক পোস্ট করেন, যাতে তিনি বলেন, যে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছি আমরা, তাদের স্বাধীনতা অর্জন করব আমরা, এটাই গণরায় এবং আমরা তা বাস্তবায়িত করব।
স্পেন সরকার পুজদেমনের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে বলে অন্য একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। তারা অঞ্চলটিতে দ্রæত একজন প্রেসিডেন্ট নিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপও করেছেন। পুজদেমন এবং তার আইনজীবীরা জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিটির কাছে স্পেনের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে কাতালোনিয়ার আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ এনেছে। নতুন এ ঘোষণার পর কাতালান প্রেসিডেন্ট হিসেবে ৫৩ বছর বয়সী কারাবন্দি জর্ডি সানচেজের সম্ভাবনা আরো বেড়ে গেল। গত বৃহস্পতিবার সানচেজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক পোস্টেও প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব নেওয়ার আগ্রহের কথা জানানো হয়েছে। ‘কাতালোনিয়ার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করা বিরাট দায়িত্ব ও সম্মানের’ বলেন তিনি।
"