চুরি করা তার নেশা। দেশে ও দেশের বাইরে গিয়েও চুরি করেছেন। চুরির দায়ে জেল খেটেছেন। চুরির কারণে এলাকা ছেড়েছেন। তবে এবার চুরি করেন মন্দিরে। ধর্মীয় প্রার্থনালয় হওয়ায় চুরি করতে গিয়ে অপরাধ বোধে ভুগছিলেন হারুনর রশীদ। মনে দেবীর অভিশাপের ভয়ও পেয়ে বসে তাকে। তাই পুকুরে গোসল করে মন্দিরে অধিষ্ঠিত কালী প্রতিমার পা ধরে ক্ষমা চেয়ে তারপর চুরি করেন তিনি। তবে বিধি বাম, শেষ রক্ষা হয়নি দেবীভক্ত এই চোরের।

চট্টগ্রামের পটিয়ার কচুয়াই ইউনিয়নের সাবিত্রী মন্দিরে ১০ মার্চ রাতে এই চুরির ঘটনা ঘটে। গত বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে হারুনর রশীদকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হারুনর রশীদ চন্দনাইশ পৌরসভার গাছবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা। প্রতিবেশীর স্বর্ণালংকার চুরির অপরাধে তাকে এলাকা ছাড়তে হয়েছিল।

পটিয়া থানার এএসআই অনুপ কুমার বিশ্বাস জানান, কচুয়াইয়ে একটি মন্দিরে চুরি করতে গিয়ে সিসি ক্যামেরা দেখে আর ভেতরে প্রবেশ করেনি হারুন। পরে সাবিত্রী মন্দিরে চুরি করতে যান। সেখানে পাশের পুকুরে হাত-পা ধুয়ে ভেতরে প্রবেশ করে সিসি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এরপর জানালা ভেঙে গর্ভগৃহে প্রবেশের সময় অনুতপ্ত হয়। তাই আবার পুকুরে গিয়ে গোসল করে মন্দিরে ঢুকেন। সেখানে কালী প্রতিমার পা ধরে ক্ষমা চেয়ে দান বাক্স ভেঙে সাত হাজার নগদ টাকা ও সিসি ক্যামেরা, মনিটর চুরি করে নিয়ে যায়। হারুনর রশীদকে গ্রেপ্তারের পর নগরীর খুলশী থানাধীন আমাবাগান এলাকা থেকে চুরি করা মনিটর উদ্ধার করা হয়েছে। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় সিসি ক্যামেরা। মন্দিরের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয় চুরির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম।

পুলিশ জানিয়েছে, চুরি করা হারুনর রশিদের স্বভাব। কাজের সন্ধানে দুবাই গিয়েও সে চুরিতে জড়িয়ে পড়েন। সেখানে গ্রেপ্তার হয়ে সাড়ে তিন বছর কারাভোগ করেছে। তিন বছর আগে দেশে ফিরে এসে আবারও চুরিতে জড়িয়ে পড়েন। প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে সাড়ে চার ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করে ধরা পড়েন তিনি। এরপর থেকে এলাকা ছেড়েছিলেন হারুন।

"