মো. মনির হোসেন কাজী, ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর)

  ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

পোনা নদীর তীরে জীবনতরী

ভাসমান হাসপাতাল ‘জীবনতরী’ এখন ভাণ্ডারিয়ায় পোনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় অবস্থান করছে। ১৫ দিন আগে এখানে আসে এ ভাসমান হাসপাতাল এবং এখানে নোঙর করেছে।

আগামী নভেম্বর পর্যন্ত তিন মাস ভাণ্ডারিয়ার পোনা নদীর তীরে অবস্থান করবে জীবনতরী। ভাণ্ডারিয়া এবং পার্শ্ববর্তী উপজেলার মানুষ এই হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে পারবেন।

‘জীবনতরী’ নামের এই ভাসমান হাসপাতালের প্রশাসক মো. আলাউদ্দিন ও মো. রুহুল আমিন সাংবাদিকদের জানান, ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটিতে চারজন চিকিৎসক রয়েছেন। রয়েছে আধুনিক অপারেশন থিয়েটার। চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ সার্জন।

স্বল্পমূল্যে চক্ষু রোগের চিকিৎসা ও ছানি অপারেশন, রোগীর চাহিদা অনুযায়ী লেন্স সংযোজন ও ফ্যাকো সার্জারির ব্যবস্থা, নাক-কান-গলা, জন্মগত মুগুর পা, বাঁকা পা, ঠোঁটকাটা ও তালুকাটা রোগীদের চিকিৎসা ও অপারেশন, অর্থোপেডিক সমস্যাজনিত শারীরিক ব্যথা, মাজাব্যথাসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয় এখানে। এছাড়া, বিকালঙ্গ ও পঙ্গু রোগীর সহায়ক সামগ্রী দেওয়া হবে ভাসমান এই হাসপাতাল থেকে। ঠোঁটকাটা ও তালুকাটা রোগীদের প্লাস্টিক সার্জারি বিনামূল্যে করা হবে।

হাসপাতাল কর্তৃৃপক্ষ জানা, ভাণ্ডারিয়ায় অবস্থানকালে প্রতিবন্ধিতা রোগ প্রতিরোধে স্থানীয় শিক্ষক, ইমাম, সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী ও পল্লী চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

৫০ টাকার টিকিট কেটে চিকিৎসা নেওয়া যাবে এ হাসপাতাল থেকে। তবে অপারেশনের আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আলাদা খরচ বহন করতে হবে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের। অপারেশনের পর রোগীরা ভাসমান হাসপাতালেই থাকবেন এবং তাদের খাবারের ব্যবস্থা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহন করবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close