প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৬ অক্টোবর, ২০১৯

খুলনা ও হবিগঞ্জে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৫

খুলনার সুন্দরবনে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-৬) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দস্যু বাহিনীর প্রধান আমিনুরসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া হবিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত সর্দার কুদরত আলী (৪০) নিহত হয়েছেন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরÑ

খুলনা : খুলনার কয়রা উপজেলার সুন্দরবনে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-৬) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দস্যু বাহিনীর প্রধান আমিনুরসহ চারজন নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে সুন্দরবনের কয়রার খাল এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। এ সময় সৌরভ ও নাহিদ নামে র‌্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন।

র‌্যাব-৬ এর স্পেশাল কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) মো. তোফাজ্জেল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সকালে আমাদের সদস্যরা নিয়মিত টহল দিচ্ছিল। এ সময় আমিনুর বাহিনীর সদস্যরা র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে আমিনুর বাহিনীর সদস্যরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে চারজনের গুলিবিদ্ধ লাশ এবং তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, ব্যবহৃত বন্দুকের কার্তুজ ও কিছু তাজা কার্তুজ উদ্ধার করেছি।

তিনি আরো বলেন, গুলিবিদ্ধদের মধ্যে স্থানীয় দুই জেলেকে শনাক্ত করা হয়েছে। বাকিরা হলেন আমিনুর বাহিনীর প্রধান আমিনুর এবং তার সেকেন্ড ইন কমান্ড রফিক। লাশগুলো কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।

হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত সর্দার কুদরত আলী (৪০) নিহত হয়েছে। গত মঙ্গলবার ভোররাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী পুরাসুন্ধা বাঁশবাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ডাকাত হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের দরিয়াপুর গ্রামের ওমর আলীর ছেলে। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ ডিবির দুই এসআইসহ ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম জানান, কুদরত আলীসহ ১০/১২ জনের একদল ডাকাত পুরাসুন্ধা বাঁশবাগান এলাকায় বসে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ডিবি পুলিশ ও শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ যৌথভাবে ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় ডাকাত দল পুলিশকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ডাকাত কুদরত আলী। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১টি দেশীয় পাইপগান, ২টি রামদা, ৫ রাউন্ড গুলিসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। আহত অবস্থায় হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের এসআই আবুল কালাম, মোজাম্মেল হক এবং কনস্টেবল রনি, জয়নুল হক, রিপন ও নুরুল ইসলামকে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

সহকারী পুলিশ সুপার আরো জানান, নিহত ডাকাত কুদরতের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ ও সিলেটের বিভিন্ন থানায় ১৩টি ডাকাতির মামলা রয়েছে। সে আন্তঃবিভাগীয় ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close