মাদারীপুর প্রতিনিধি

  ২৩ মার্চ, ২০১৯

ওষুধের দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি!

সরকারি নীতিমালা তোয়াক্কা না করে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার। এমনকি ওষুধের দোকানসহ মুদি দোকান ও কাপড়ের দোকানেও এখন চলছে গ্যাস সিলিন্ডারের জমজমাট ব্যবসা। প্রশাসনের কোনো ধরনের তদারকি না থাকায় লাইসেন্সবিহীন গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা বেড়েছে। এর ফলে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।

সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল বাজার, ভূরঘাটা বাজার সাহেবরামপুর বাজারসহ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের প্রায় সব বাজারে এলপি গ্যাসে সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছাড়াই চলছে এ ব্যবসা। লাইসেন্স আছে এমন গ্যাস ও দাহ্য পদার্থ ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিলের জন্য বাজারের দোকানে দোকানে সিলিন্ডার সরবারহ করছেন। সংশ্লিষ্ট তথ্য মতে, বিস্ফোরক আইন ১৮৮৪-এর দ্য এলপি গ্যাস রুলস ২০০৪-এর ৬৯ ধারার ২ বিধিতে বলা হয়েছে, লাইসেন্স ছাড়া কোনো ক্ষেত্রে এলপিজি গ্যাস মজুদ করা যাবে না। একই বিধিতে ৭১ নম্বর ধারায় বলা আছে, আগুন নেভানোর জন্য যথেষ্ট পরিমাণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি রাখতে হবে। এই আইন অমান্য করলে সংশিষ্ট ব্যবসায়ীর দুই বছর ও অনধিক ৫ বছরের জেল, ৫০ হাজার টাকা দ- এবং অনাদায়ে অতিরিক্ত ছয় মাস পর্যন্ত কারাদ-ের বিধান রয়েছে। সেই মোতাবেক আটটি গ্যাসভর্তি সিলিন্ডার মজুদের ক্ষেত্রে লাইসেন্সের প্রয়োজন নেই। আইনের এই ফাঁকফোকরটিই কাজে লাগাচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া গ্যাস সিলিন্ডার বোতলে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ লেখা নেই। কালকিনির সিলিন্ডার ব্যবসায়ী দিদারুল আলম বলেন, আমি আমার ওষুধের দোকান থেকে গ্যাস সিলিন্ডার সরিয়ে নেব।

মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার নিত্য গোপাল সরকার বলেন, আমরা গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ীদের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দোকানে রাখার পরামর্শ দিচ্ছি। আমরা শিগগির তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোট পরিচালনা করব। কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, গ্যাস সিলিন্ডারের লাইসেন্সবিহীন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close