নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৩ নভেম্বর, ২০১৮

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বললেন

তফসিলের পরই নির্বাচনকালীন সরকার শুরু হয়েছে

ঘোষণা না এলেও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনকালীন সরকার শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। আর নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভায় আইন অনুমোদনে কোনো বাধা নেই বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে একটি আইন অনুমোদন ও দুটি চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।

বৈঠকে ‘বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন-২০১৮’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। তফসিল ঘোষণার পর মন্ত্রিসভায় আইন অনুমোদনে কোনো বাধা আছে কি না এবং নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সাংবাদিকরা।

‘মন্ত্রিসভা ছোট করা বা নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কোনো আলোচনা আছে কি না’Ñ এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, না এ রকম কোনো সংবাদ নেই। থাকলে তো আপনাদের বলবই।

২৩ ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঠিক করে গত ৮ নভেম্বর জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে কমিশন। তবে ঐক্যফ্রন্টের দাবির পর সোমবার নির্বাচন এক সপ্তাহ পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছে কমিশন। নির্বাচনকালীন সরকার কোনো আইন বা নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং নির্বাচনকালীন সরকার কবে থেকেÑ এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, যেহেতু ডিক্লারেশন অব শিডিউল হয়ে গেছে, ওই সময় থেকেই নির্বাচনকালীন সরকার শুরু হয়ে গেছে। আইন উঠতে পারে কি নাÑ এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পারে। মন্ত্রিসভায় আইন উঠতে কোনো বাধা নেই। শিডিউল ঘোষণার শুরু থেকেই এ সরকার নির্বাচনকালীন সরকার। কনস্টিটিউশনে ওভাবে লেখা নেই।’

একটি আইন অনুমোদন নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এগুলো কেবিনেট রিলেটেড কার্যক্রমের মধ্যেই পড়ে। রুটিনই বলা যায় এটা। এটা কোনো উন্নয়ন প্রকল্পকে স্পর্শ করে না। রেগুলার সরকারের অন্যতম কাজ আইন পাস করা; সরকার তো রেগুলারই আছে। সমস্যা কী?’

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের উত্তর (নির্বাচনকালীন সরকার) ধরে প্রশ্ন করলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এগুলো তো আমাদের দেওয়া নাম, এগুলো কনস্টিটিউশনাল নাম না।’ পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া চার মন্ত্রীও এদিন মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছিলেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত ৬ নভেম্বর টেকনোক্র্যাট কোটায় নিয়োগ পাওয়া চার মন্ত্রী পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন।

যে চারজন পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তাদের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ওটা হলো আমাদের যে কনস্টিটিউশন-প্রভিশন তাতে প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত। অর্থাৎ একজন মন্ত্রী যদি তার দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন, সাবমিশন হচ্ছে ওই গেজেট নোটিফিকেশন হওয়া পর্যন্ত। অর্থাৎ উনার পদত্যাগটা চূড়ান্ত হবে যখন গেজেট নোটিফিকেশন হবে। সেটা যেহেতু হয়নি, তত দিন পর্যন্ত উনারা মন্ত্রী হিসেবে বহাল আছেন বলে গণ্য হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close