ঢাবি প্রতিনিধি

  ১৯ অক্টোবর, ২০১৮

অনশনে অসুস্থ আখতার

ফের ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চায় ছাত্রলীগ

প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়। এতে চার দফা দাবি জানিয়েছে ছাত্রলীগ। এদিকে, একই দাবিতে অনশনরত আইন বিভাগের ছাত্র আখতার হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

ছাত্রলীগের চারটি দাবিগুলো হচ্ছে- যাচাই-বাছাই শেষে পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া অথবা উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশেষ ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে আসা; ডিজিটাল জালিয়াতি, প্রশ্ন ফাঁস বা যেকোনো ধরনের অসদুপায় অবলম্বনকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ; সুস্পষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে জালিয়াতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব বাতিল ও পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কারের জন্য পলিসি ডিবেটের আয়োজন করা।

এর আগে গত ১২ অক্টোবর ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হয়। এরপরই অভিযোগ ওঠে প্রশ্ন ফাঁসের। এর পরিপ্রেক্ষিতে ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা করেও তা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে গত ১৬ অক্টোবর তা প্রকাশ করা হয়। ফল প্রকাশের পর নানা অসংগতি নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে অনশনরত আইন বিভাগের ছাত্র আখতার হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। গতকাল দুপুর পৌনে ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানীর সামনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন আখতার হোসেন। পরে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রলীগের নেতাসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী রাজু ভাস্কর্যে আসেন। এ সময় তিনি আখতারকে বোঝান। কিন্তু আখতার পরীক্ষায় প্রশ্নন ফাঁসের বিষয়ে প্রক্টরের কাছে জানতে চান। এর একপর্যায়ে আখতার হাত-পা ছুড়তে থাকলে তাকে সবাই ধরে রিকশায় করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, আমরা গিয়েছিলাম। প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি আমরা পর্যালোচনা করছি বলে তাকে বুঝিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেশের বাইরে আছেন। উপাচার্য দেশে আসার সময় পর্যন্ত তাকে অপেক্ষা করতে বলেছি। এ সময় আখতার অসুস্থবোধ করলে আমরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। তিনি এখন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে আছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close