নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

শত বছরের বদ্বীপ পরিকল্পনা একনেকে অনুমোদন

আলোর মুখ দেখছে জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় বর্তমান সরকারের শত বছরের বদ্বীপ পরিকল্পনা। পরিকল্পনায় বন্যা, নদী ভাঙন, নদী শাসন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নগর বন্যানিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘমেয়াদি কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিকল্পনা তৈরি করেছে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনৈতিক বিভাগ (জেইডি)। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষের সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন এনইসির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং বিদ্যমান অবকাঠামো উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে বদ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রতি বছর জিডিপির প্রায় আড়াই শতাংশ অর্থের প্রয়োজন হবে। ২০৩১ সাল নাগাদ প্রতি বছর ২৯ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। সরকারের এই শতবর্ষী পরিকল্পনা অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় উপস্থাপন করা হবে।

নেদারল্যান্ডস ডেল্টা ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ প্রণয়ন করা হয়েছে। নেদারল্যান্ডস সরকারের সহায়তায় পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) এটি প্রণয়ন করেছে। পরিকল্পনার ধারণা অনুযায়ী দেশজ আয়ের মোট চাহিদার আড়াই শতাংশের মধ্যে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ অর্থায়ন বেসরকারি খাত থেকে এবং ২ শতাংশ সরকারি খাত জোগান দিতে হবে। বদ্বীপ পরিকল্পনায় বেশির ভাগ সরকারি অর্থায়ন বন্যা থেকে রক্ষা, নদী ভাঙন, নিয়ন্ত্রণ, নদী শাসন এবং নাব্য রক্ষাসহ সামগ্রিক নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নগর বন্যানিয়ন্ত্রণসহ নদী ব্যবস্থাপনায় ব্যয় হবে। জিইডি সূত্রে জানা যায়, এই বদ্বীপ বিনিয়োগ পরিকল্পনায় যাচাই-বাছাই শেষে প্রথম পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য ৮০টি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৫টি ভৌত অবকাঠামো সংক্রান্ত এবং ১৫টি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং গবেষণা বিষয়ক প্রকল্প রয়েছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ছয়টি স্থানকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলোÑ উপকূলীয় অঞ্চল, বরেন্দ্র ও খরাপ্রবণ অঞ্চল, হাওর এবং আকস্মিক বন্যাপ্রবণ এলাকা, পার্বত্য অঞ্চল এবং নগর এলাকা। অঞ্চলভেদে আর্থসামাজিক বৈষম্য এবং এর সাধারণ ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।

এনইসি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি এ উদ্যোগকে ঐতিহাসিক বলে আখ্যায়িত করেন।

বৈঠকে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান ও জেইডির সদস্য সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম ছিলেন।

পরিকল্পনার ধারণা অনুযায়ী, দেশজ আয়ের মোট চাহিদার আড়াই শতাংশের মধ্যে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ অর্থায়ন বেসরকারি খাত থেকে এবং ২ শতাংশ সরকারি খাত থেকে জোগান দিতে হবে।

বদ্বীপ পরিকল্পনায় বেশির ভাগ সরকারি অর্থায়ন বন্যা থেকে রক্ষা, নদী ভাঙন, নিয়ন্ত্রণ, নদী শাসন, এবং নাব্য রক্ষাসহ সামগ্রিক নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নগর বন্যানিয়ন্ত্রণসহ নদী ব্যবস্থাপনায় ব্যয় হবে।

জিইডি সূত্রে জানা যায়, বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০-এর প্রাথমিক ধাপ বাস্তবায়ন হবে ২০৩০ সাল নাগাদ। এ পরিকল্পনা যাচাই-বাছাই শেষে প্রথম পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য ৮০টি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৫টি ভৌত অবকাঠামো সংক্রান্ত এবং ১৫টি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও দক্ষতা উন্নয়ন ও গবেষণা বিষয়ক প্রকল্প রয়েছে। আর বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ছয়টি স্থানকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close