বয়স ৩৭। এই বয়সেও বিশ্বের অন্যতম ফিট ও শক্তিশালী ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক ফুটবলে রাজত্ব করেও আত্মতৃপ্ত নন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই তারকা। বরং প্রতিদিন বল পায়ে নতুন করে যাদু সৃষ্টি করেন। নিজেকে ফিট রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। ফিটনেস দুনিয়ায় এক নতুন দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন তিনি।

সাধারণত ফিটনেস ট্রেনিং-এর সময় ২৩ হাজার ৫৫ কেজি তোলেন রোনালদো। অর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় ১৬টি টয়োটো প্রিয়াস গাড়ি তোলেন রোনালদো। হেড করার সময় রোনালদোর লাফ চিতাবাঘের থেকে পাঁচগুণ শক্তিশালী। শরীরের পেশির সৌন্দর্যের জন্য রোজ তিন হাজারটি ‘অ্যাব’ ব্যায়াম করেন তিনি। প্রতিদিনের এই শারীরিক কসরত ছাড়াও খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রেও নিয়ম মেনে চলেন তিনি।

দেখা নেওয়া যাক নিজেকে ফিট রাখতে কী ধরনের খাদ্যাভ্যাস মেনে চলেন সিআর৭।

প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন খাওয়া : নিয়মিত শরীরচর্চার পাশাপাশি রোজের খাদ্যতালিকায় প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার রাখতে ভোলেন না তিনি। স্ক্র্যাম্বেলড এগ থেকে শুরু করে মাছ, মাংস—ভরপুর প্রোটিন আছে এমন খাবারই থাকে রোনালদোর খাদ্যতালিকায়।

চিনি না খাওয়া : রোনালদোর ফিটনেসের মূল মন্ত্র হলো চিনি না খাওয়া। চিনি থেকে শত হস্ত দূরে থাকেন এই তারকা ফুটবলার। একান্তই মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলে পানিজাতীয় কোনো ফল খেয়ে নেন।

প্রচুর পানি খাওয়া : ফিট থাকতে শুধু শরীরচর্চা যথেষ্ট নয়। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়াও প্রয়োজন। রোনালদো নিজেকে ফিট রাখতে তাই ভরসা রাখেন পানিতে। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি খান তিনি। সুস্থ ও ফিট থাকার অন্যতম উপায় হলো নিজেকে আর্দ্র রাখা। অ্যালকোহল, চিনিযুক্ত পানীয়, নরম পানীয় থেকেও দূরে থাকেন রোনালদো।

স্বাস্থ্যকর খাবার : রোনালদোর প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মাছ, মাংস, ডিমের মতো প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার থাকার পাশাপাশি অন্যান্য স্বাস্থ্যকর খাবারও থাকে। শাকসবজি, ফল, বিভিন্ন ধরনের শস্যও থাকে রোনালদোর রোজের খাদ্যতালিকায়।

না খেয়ে থাকা নয় : শত ব্যস্ততাও থাকলেও না খেয়ে থাকেন না রোনালদো। খাবারের পরিমাণ অল্প থাকে। কিন্তু নিয়ম করে খাবার খেতে ভোলেন না তিনি। সারাদিনে অন্তত ছয়বার খান। তবে প্রতিবারই পরিমাণে অল্প সুষম খাদ্য থাকে।