নড়বড়ে বাংলাদেশ
সিরিজের শেষ ম্যাচে ১৬২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। মাত্র ১০ ওভারে ৪৮ রানে খরচা হয়েছে ৪ উইকেট। সাজঘরে ফিরেছেন লিটন দাস, নাঈম ইসলাম, সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম।
যেখানে নিউজিল্যান্ড ঝড়ো ব্যাটিংয়ের জবাবে টাইগাররা ধীর ব্যাটিংয়ে তাদের উইকেট ধরে রাখতে পারিনি। ৪.৩ ওভারে দলীয় ২৬ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন ওপেনার লিটন দাস। এরপর আসা-যাওয়ার মাঝে নেই সৌম্য সরকার ৪ (৯), নাঈম ৫ (৮) ও মুশফিকুর রহিম ৩ (৬)।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে পাচঁ ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে আগের চার ম্যাচের রঙ গুছিয়েছে নিউজিল্যান্ড। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে কিউইরা করেছে সংগ্রহ ১৬১ রান। যা এই সিরিজের সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড।
শুক্রবার বিকালে মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে বোলিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে শুরুতেই ঝড়ো ব্যাটিং। নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার চড়াও হয় বোলারদের উপর। ৩১ বলে ৫১ রানের পাটনারশীপ গড়ে এলিন-রবিন্দ্র। এরপর ৫.৩ ওভারে কিউই শিবিরে প্রথম আঘাত হানে শরিফুল। ৫৮ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙেন তিনি। রবিন্দ্রকে (১২ বলে ১৭) মিডঅপে মুশফিকুর রহিমের তালুবন্দী করেন। ওই ওভারেই এক বল বিরতি দিয়ে ভয়ংকর অ্যালেনকেও তুলে নেন শরিফুল। এরপর ৮.৪ ওভারে দলীয় ৭১ রানে ইয়ংকে ফেরান আফিফ।
মন্থর উইকেটে আগের ম্যাচগুলোতে শুরুতে স্পিন আক্রমণ দেখা গেলেও এদিন তাসকিনকে দিয়ে আক্রমণ শুরু রিয়াদ।কিন্তু শুরুতে বাংলাদেশ বোলারের ওপর চড়াও হয় কিউই ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ১০ ওভারে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তুলে নেন ৮১ রান। মাঝে দ্রুত আরও ২ উইকেট হারালেও লাথান সঙ্গী ম্যাককনিচকে সঙ্গী করে ৪৩ রানের জুটিতে ২০ ওভার শেষে দলীয় স্কোর ১৬১ তে পৌঁছাতে সক্ষম হন। লাথান ৪৭ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেন।
শেষ ম্যাচের বাংলাদেশ একাদশে বড় পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে রিয়াদ বাহিনী। একাদশে আছেন সৌম্য সরকার, শামীম হোসেন, শরীফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ। সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নেই আজকের একাদশে। টিম ম্যানেজম্যান্ট তাদের বিশ্রামে পাঠিয়েছে।
অপরদিকে নিউজল্যান্ড দলেও আছে একাধিক পরিবর্তন। টম ব্লানডেল, হামিশ ব্যানেট, ব্লেয়ার টিকনাররা একাদশে জায়গা হারিয়েছেন। তাদের পরিবর্তে একাদশে জায়গা পেয়েছেন স্কট কুগেলেইন, জ্যাকব ডাফি ও বেন সিয়ার্স।
পিডিএসও/ জিজাক