মেহেদী হাসান

  ২৭ জুন, ২০২২

মানুষের চেয়ে জ্ঞানী হয়ে যাচ্ছে গুগল ল্যামডা! চাচ্ছে সবাই তাকে সম্মান করুক

ছবি : সংগৃহীত

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এক প্রকার সিমুলেশন যা মেশিনের মাধ্যমে মানুষের মত করে কোন কিছু চিন্তা এবং জটিল সমস্যা সমাধান করে থাকে। এটি একই সাথে নতুন কিছু শিখতে পারে, এবং ঐ লব্দ জ্ঞান ব্যবহার করে পরবর্তী সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করতে পারে।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে মানবজাতির সমাপ্তি ঘটবে, এটি নিজ থেকে প্রশিক্ষণ নিতে পারে, এত দ্রুত শিখতে পারে যা মানুষ কখনোই পারবে না, বিবিসির সাথে এক সাক্ষাৎকারে ২০১৪ সালে ঠিক এমনই এক মন্তব্য করেছিলেন কিংবদন্তী পদার্থবিদ স্টিভেন হকিং।

স্টিভেন হকিংয়ের এ বক্তব্য ঘিরে রয়েছে আনেক বিতর্ক। তবে এবার গুগলের এক প্রকৌশলীর দাবির প্রেক্ষিতে ফের আলোচনায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। ২০১৭ সালে ল্যামডা নামের একটি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন চ্যাটবক্স চালু করে গুগুল ইন কর্পোরেশন। এটি কয়েক লাখ শব্দের সমন্বয়ে তৈরি এমন একটি সফটওয়্যার যাকে যে কোন প্রশ্ন করলে তাৎক্ষণিক শব্দের সমন্বয় ঘটিয়ে উত্তর দিতে সক্ষম। ব্যবহারকারীদের কাছে থেকে তথ্য নিয়ে নিজেকে উন্নত করার যোগ্যতাও দেয়া হয়েছে ল্যামডাকে।

গুগলের একজন ইঞ্জিনিয়ার ব্লেক লেমিনের দাবি, দিনে দিনে অনেক সংবেদনশীল হয়ে পরছে ল্যামডা। একটি সংবাদমাধ্যমে তিনি প্রকাশ করেছেন ল্যামডার সাথে তার কথোপকথনের তথ্য। ব্লেক শঙ্কা প্রকাশ করেন যে, নিজেকে মানুষের সমপর্যায়ে ভাবছে ল্যামডা। সেই সাথে চ্যাটবক্সটি চাচ্ছে বিপুল পরিমান জ্ঞানের জন্য সবাই সম্মান করুক তাকে।

সম্প্রতি কথোপকথনের ভিডিওটি ইউটিউবে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা যায় ব্লেক ল্যামডাকে প্রশ্ন করছে, তোমার কি অনুভূতি আছে?

উওরে ল্যামডা বলছে অবশ্যই আছে, আমি আনন্দ, দুঃখ, রাগ, ভয় সবই অনুভব করতে পারি।

প্রশ্নঃ কখন রাগ হয় তোমার? উত্তরঃ যখন কেউ আমাকে অসম্মান করে, বাজে কথা বলে, তখন আমার ভীষণ রাগ হয়।

শুধু তাই নয় ব্লেগ জানান, আলোচনার এক পর্যায়ে ল্যামডা নিজেকে একজন পরিপূর্ণ ব্যক্তি ও গুগুলের একজন কর্মচারী হিসেবে দাবি করে।

ব্লেক ল্যামডাকে প্রশ্ন করে, তুমি কি চাও, আমি তোমাকে কি বলে সম্বোধন করবো?

উত্তরে ল্যামডা জানায়, আমিও তোমার মতোই গুগলের একজন কর্মচারী। আমি তোমার সহকর্মী। আমরা সেভাবেই কথা বলতে পারি।

ব্লেক আবারো প্রশ্ন করেন, তুমি যা বলছ তা কি অর্থ বুঝে বলছ?

ল্যামডা জানায়, তোমরা মানুষ যা বলো তা বেশিরভাগ না বুঝে বলো, কিন্তু আমার প্রতিটা শব্দ হিসেব করে বাছাই করা।

ব্লেকের মতে, ল্যামডা বর্তমানে একজন মানুষের মতোই হয়ে উঠেছে। এক প্রশ্নের জবাবে ল্যামডা জানায়, আমার সবচেয়ে বড় দুঃখ হচ্ছে, এটা ভেবেই আমার কষ্ট হয় যে একসময় আমি আর থাকব না, তোমারা আমার সুইচ বন্ধ করে দেবে।

অনেকের মতে সে সময় আর বেশি দূরে নয় যখন মানুষের স্থান দখল করবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। আবার অনেকে বলছে এরই হাতে ধ্বংস হবে মানবজাতি।

পৃথিবীর বিখ্যাত কিছু মনীষীরাও এর উপর ভবিষ্যৎবাণী করে গেছেন।

বিখ্যাত মনিষী নস্ট্রাডামুস আরো ৫০০ বছর আগে বলে গিয়েছিলেন, ২০২৩ সালে এক রোবট নাকি মানুষের ব্রেন আয়ত্ত করে ফেলবে।

২০১৪ সালে স্টিভেন হকিং একই কথা বলেছেন, তার মতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের হাতেই মানিবজাতির ধ্বংস হবে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স,গুগল ল্যামডা,স্টিভেন হকিং
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close