সংসদ প্রতিবেদক

  ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

সংসদে গৃহায়ণ মন্ত্রী

‘শান্তিনগর থেকে ঝিলমিল পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণ হবে’

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কর্তৃক রাজধানীর শান্তিনগর হতে মাওয়া রোড (ঝিলমিল) পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। প্রস্তাবিত ফ্লাইওভারটি বর্তমান সরকারের পিপিপি পদ্ধতিতে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। সরকারি অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটিতে এটি নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে।

রোববার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এ তথ্য জানান। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান, এই প্রকল্পের অনুকুলে ৫৩৪ কোটি ৭২ লাখ টাকার ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফিন্যান্সিং প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ছয়টি প্রতিষ্ঠানের দাখিলকৃত কোটেশন সমূহ যাচাই-বাছাই পূর্বক তিনটি প্রতিষ্ঠানকে শর্ট লিস্টেড হিসেবে সুপারিশ করা হয়। শীঘ্রই শর্ট লিস্টেড প্রতিষ্ঠান বরাবর আরএফপি জারি করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য চলতি বছরের জানুয়ারি হতে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, রাজউক ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা, ২০০৮ ও ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী লে-আউট প্ল্যান অনুমোদন করে এবং উক্ত লে-আউট প্ল্যান অনুযায়ী ভবন নির্মিত হচ্ছে কি-না তা পর্যবেক্ষণ করে থাকে।

একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত রাজউকের আওতাধীন এক হাজার ৫২৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ২ লাখ ৪ হাজার ১০৬টি ভবন জরিপ করা হয়েছে। জরিপ অনুযায়ী পূর্বে নির্মিত এক লাখ ৯৫ হাজার ৩৭৬টি ভবনের মধ্যে এক লাখ ৩১ হাজার ৫৮৩টি ভবনের বিভিন্ন ধরণের ব্যত্যয় (কম-বেশী) পাওয়া গেছে এবং নির্মাণাধীন ৮ হাজার ৭৩০টি ভবনের মধ্যে ৩ হাজার ৩৪২টি ভবনের অনুমোদিত নক্সায় ব্যত্যয় (কম-বেশি) পাওয়া গেছে।

শ ম রেজাউল করিম জানান, রাজউকে ঠিকানাসহ তালিকা সংরক্ষিত আছে। উক্ত তালিকা দীর্ঘ হওয়ায় তা সংলাপ আকারে সংযুক্ত করা হয়নি। তবে প্রয়োজনে সুনির্দিষ্ট চাহিদার প্রেক্ষিতে তালিকা সরবরাহ করা যেতে পারে এবং এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরো বলেন, যে সকল নির্মাণাধীন বাড়ির মালিক ইমরাত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা ২০০৮ না মেনে বিল্ডিং নির্মাণ করছে তাদেরকে সংশোধনের জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়। সংশোধন না করলে পর্যায়ক্রমে নোটিশ প্রদান করে ব্যত্যয়কৃত অংশ অপসারণ করা হয়।

পিডিএসও/রি.মা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
গৃহায়ণ মন্ত্রী,শান্তিনগর,ঝিলমিল,ফ্লাইওভার
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close