reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৪ জানুয়ারি, ২০২৪

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চান জাতিসংঘ মহাসচিব

ফাইল ছবি

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মানবিক কারণে ফিলিস্তিনের গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি। এ সময় ইসরায়েলের আশদোদ বন্দর হয়ে গাজায় মানবিক সহায়তা নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা ফের চালু করার দাবি জানান গুতেরেস।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, আমাদের (জাতিসংঘে সহায়তাকারীদের) গাজার উত্তরাঞ্চলে প্রবেশাধিকার দরকার। জানুয়ারি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে গাজার উত্তরাঞ্চলে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয়ার ২৯টি অভিযান (মিশন) পরিচালনার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এরমধ্যে মাত্র সাতটি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে শেষ হয়েছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, সামরিক অভিযানের সময় আটক ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলি বাহিনীর সদস্যরা অমানবিক আচরণ করেছেন। এমন প্রতিবেদন আমাকে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করেছে। এদিকে, গাজায় চলমান হামলা এবং প্রাণহানির ঘটনায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে শুনানি চলছে। সেই সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে ইসরায়েলের প্রতি আন্তর্জাতিক চাপ বেড়েছে।

তবে আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যেই অন্তত দুই মাসের জন্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল ইসরায়েল, যদিও তা প্রত্যাখ্যান করে হামাস স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ওপর জোর দিয়েছে। আর মোসাদের প্রধান ইসরায়েল প্রস্তাব করেছে যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য হামাসের সিনিয়র নেতাদের গাজা ত্যাগ করতে হবে। চলমান আন্তর্জাতিক আলোচনার সঙ্গে সংযুক্ত দুই কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এ কথা জানিয়েছেন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্ত বেড়া ভেঙে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ জনের মৃত্যু হয়। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক মানুষ। ওইদিন হামাসের হাতে জিম্মি হন ২৪০ জন। হামাসের হামলার জবাবে সেদিন থেকেই ফিলিস্তিনের গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। তিন মাসের বেশি সময় ধরে নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এরই মধ্যে গাজায় ২৫ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। আর বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১৯ লাখের বেশি মানুষ।

মাঝে গত নভেম্বরে তিন দফায় মোট সাত দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল। সে সময় প্রায় ১০০ জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারগুলোতে আগে থেকে আটক কয়েক শত ফিলিস্তিনি মুক্তি পান। ইসরায়েলের অভিযোগ, ৭ অক্টোবরের হামলার সময় ‘যুদ্ধাপরাধ’ করেছেন হামাস সদস্যরা। তারা নির্যাতন, ধর্ষণ ও অঙ্গহানি করেছে। তবে হামাসের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

পিডিএস/এমএইউ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
গাজা,জাতিসংঘ,গুতেরেস,হামাস,ইসরায়েল
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close