রাজস্থানের পোখরানে সেনা মহড়া-অনুষ্ঠানে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

পাকিস্তানকে সতর্ক করে রাজনাথ সিং বলেছেন, এখনও পর্যন্ত পরমাণু অস্ত্র নিয়ে প্রথম ব্যবহার নীতিতে চলে না ভারত। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী ভবিষ্যতে এই নীতিও বদলাতে পারে।রাজস্থানের পোখরানে সেনা মহড়া-অনুষ্ঠানের সমাপ্তি দিনে অংশগ্রহণ করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বস্তুত দ্বিতীয়বার সরকারে এসেই জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়ে শুরু থেকেই কাশ্মীর উপলক্ষে সরকারের কড়া অবস্থানের মন্তব্যই করেছেন রাজনাথ সিং। এর আগে বলেছিলেন,পৃথিবীর কোনও শক্তি কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। আলাপ আলোচনায় কাজ না হলে, অন্য রাস্তাও জানা আছে।

রাজস্থানের এই পোখারানেই ১৯৭৪ এবং ১৯৯৮ সালে পরমাণু পরীক্ষা করা হয়েছিল।পোখরান ২,হয় যখন ক্ষমতায় ছিল অটল বিহারী বাজপেয়ীর সরকার। উল্লেখ্য, জম্মু-কাশ্মীরে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপের পর সমস্ত রকমের কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মহলে কাশ্মীর নিয়ে তাদের মত করে বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে ইসলামাবাদের তরফে। এই পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের এই মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

দ্বিতীয়বার সরকারে এসেই জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে মোদী সরকার। এই অবস্থায় নাম না করে পড়শি পাকিস্তানকে লক্ষ্য করে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী, রাজনাথের টুইট,এতদিন পর্যন্ত পরমাণু শক্তি নিয়ে ভারতের নীতি ছিল, প্রথমে ব্যবহার নয়। ভবিষ্যতে এই নীতি থাকবে কিনা, তা নির্ভর করছে পরিস্থিতির উপর।

১৯৯৮-এ এই পোখরানে সফল পরীক্ষা করেই পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল ভারত। প্রসঙ্গত, পরমাণু শক্তি নিয়ে বরাবরই ভারতের নীতি হল, প্রথম আক্রমণ নয়। ধীরে ধীরে এই নীতি থেকে কি সরে আসছে ভারত? কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের অবনতির মধ্যেই রাজনাথ সিং-র মন্তব্য ঘিরে উঠেছে তাৎপর্যপূর্ণ কিছু প্রশ্ন।

পিডিএসও/তাজ