reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৪ জুলাই, ২০১৮

গুহায় আটকে পড়া কিশোর দল খাবার-ওষুধ পেল

থাইল্যান্ডের উত্তরে একটি গুহায় আটকে পড়া ১২ কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচের কাছে প্রথমবারের মতো খাদ্য ও ওষুধ পৌঁছাতে পেরেছেন উদ্ধারকারীরা। এ খাদ্য ও ওষুধ পৌঁছানো ডুবুরিদের সাতজনের দলটির মধ্যে একজন ডাক্তার ও একজন নার্সও ছিলেন। দলটির সঙ্গে ডুবুরিদের দেখা করার পর একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে দেখা যায়, আটকে পড়া কিশোররা বলছে, তাদের স্বাস্থ্য ভালো আছে। ভিডিওটিতে এরপর তারা প্রত্যেকে একে একে কথা বলেন। এদিকে তাদের নিরাপদে বের করে আনার উপায় খোঁজা হচ্ছে বলে জানানো হলেও বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন গুহার মধ্যে বিপজ্জনক করিডোর ও শূন্য মাত্রার দৃশ্যমান পানির কারণে অদক্ষ ডুবুরিদের নেওয়া ঝুঁকির বিষয় হবে।

থাইল্যান্ডের কর্মকর্তারা বলেছেন, গুহায় আটকে থাকা ১২ কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচকে বের করে আনার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ঝুঁকি নিতে চান না তারা। ওই গুহার মধ্যে প্রায় ৯ দিন ধরে আটকে থাকার পর গত মঙ্গলবার তাদের সন্ধান পায় উদ্ধারকর্মীরা। একটি ফুটবল সেশন শেষে কোচের সঙ্গে গুহার মধ্যে গিয়েছিল ওই ১২ কিশোর। কিন্তু এরপরই প্রবল বৃষ্টি শুরু হলে তাদের বের হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়।

যে গুহায় তারা আটকে পড়েছে সেটি থাইল্যান্ডের দীর্ঘতম গুহাগুলোর একটি। পরে তাদের ভিডিও প্রকাশ করে থাই নৌবাহিনী। এতে দেখা যায়, তারা সবাই স্বাভাবিক আছেন ও কথা বলছেন। এরপর তাদের কাছে চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো সহজে হজমযোগ্য এবং উচ্চশক্তির খাবার ও ভিটামিন পৌঁছানো হয়।

চিয়াং রাই প্রদেশের গভর্নর নারংসাক ওসোত্থানাকন বলেছেন, তারা কোনো তাড়াহুড়া করতে চান না। এদিকে আরো বৃষ্টির কারণে সাগরের পানির উচ্চতা বাড়ায় গুহায় বাতাস ঢোকার পথগুলো হুমকির মুখে আছে।

এদিকে গুহায় আটকে পড়া দলটির বেশিরভাগই সাঁতার জানে না, যা পুরো উদ্ধার প্রক্রিয়াকে আরো জটিলতায় ফেলেছে। এর আগে থাই সামরিক বাহিনী বলেছে, এদের প্রথমে সাঁতার শেখাতে হবে বা অপেক্ষা করতে হবে অন্তত চার মাস।

উদ্ধার তৎপরতায় যুক্ত থাকা ডুবুরি বেন রেমিনেন্টস বলেছেন, থাই নৌবাহিনীর দুইজন চিকিৎসক স্বঃপ্রণোদিত হয়ে আটকে থাকা ছেলেদের সঙ্গে পানি কমে না আসা পর্যন্ত অবস্থান করতে চেয়েছেন। আর অন্য আরেকটি টিম পাহাড়ের অন্য দিক থেকে গুহার ভিন্ন পথ খোঁজার কাজ করছেন।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
থাইল্যান্ড,গুহা,কিশোর খেলোয়াড়
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist