কুবি প্রতিনিধি

  ০৬ মার্চ, ২০২৪

শিক্ষক সমিতির বাধা

কুবিতে নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর পর স্থগিত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শিক্ষক সমিতির বাধার মুখে বন্ধ হয়েছে গেছে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের লিখিত নিয়োগ পরীক্ষা। ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শিক্ষক সমিতির বাধার মুখে বন্ধ হয়েছে গেছে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের লিখিত নিয়োগ পরীক্ষা। বুধবার (৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া এই পরীক্ষা বেলা দেড়টায় স্থগিত হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, বুধবার সকাল ১০টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সাড়ে ১০টায় ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়। এর আগে সকাল ১০টার দিকে কুবি শিক্ষক সমিতির সদস্যরা উপাচার্যের কক্ষে প্রবেশ করে পরীক্ষা বন্ধে চাপ দিতে থাকে। পরে সাড়ে ১০টায় উপাচার্য প্রশাসনিক ভবনের ৪১১ নম্বর কক্ষের চলা পরীক্ষা হলে গেলে সেখানেও যান শিক্ষক সমিতির সদস্যরা। এ সময় নিয়োগ পরীক্ষা অবৈধ ও প্রশ্ন ফাঁস করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনুষদের ডিন ও বিভাগটির বিভাগীয় প্রধানের অনুপস্থিতিতে এই পরীক্ষা কোনোভাবে বৈধ নন বলেও অভিযোগ করেন।

হট্টোগলের সময় পরীক্ষা বোর্ড কমিটির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান। এর বাইরে দুজন এক্সটার্নালের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন একজন। তবে এ সময় কমিটির দুই সদস্য ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন সরকারও অনুপস্থিত ছিলেন।

নিয়োগ পরীক্ষায় বাধা দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, ‘আসলে বাধা না, আমরা অবৈধ এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করতে চেয়েছি। নিয়োগ সার্কুলারও তো নীতিমালা বিরোধী, আজকের এই পরীক্ষার প্রক্রিয়াও প্রশ্নবিদ্ধ। কোনোপ্রকার খাম ছাড়াই খোলা প্রশ্ন একজন কমিটির বাইরের লোককে দিয়ে পরীক্ষার হলে নিয়ে এসেছেন।

নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত না থাকা প্রসঙ্গে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান বলেন, ‘প্রশাসনের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে সাধারণ শিক্ষকেরা ক্ষুব্ধ। যেহেতু সাধারণ শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন হচ্ছে শিক্ষক সমিতি এবং শিক্ষক সমিতির যে সেন্টিমেন্ট তার সঙ্গে অন্যান্য সাধারণ শিক্ষকের মতোই আমিও একমত। সেজন্যই আমি বোর্ডে যাইনি। যদি বিদ্যমান যেসকল সংকট আছে সেগুলো সমাধান করা হয় তবে আমি বোর্ডে যাব। আর যতদিন এইসকল সমস্যার সমাধান হবে না, আমি বোর্ডে যাবো না।’

পরীক্ষাস্থগিত বিষয়ে জানতে ডিনকে ফোনে কল দিলে তিনি অফিসে এসে কথা বলতে বলেন। পরবর্তীতে অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।

নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতে বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন সাংবাদিকদের বলেন, ‘শিক্ষক সমিতি যে প্রশ্ন ফাঁসের যে অভিযোগ এনেছে তা পুরোপুরি মিথ্যে ও বানোয়াট।’

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close