পাবনা প্রতিনিধি
পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন নিহত কনস্টেবলের স্ত্রী-সন্তান
পাবনার সাঁথিয়া প্রেস ক্লাবে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন নিহত পুলিশ সদস্য আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী খালেদা খাতুন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী হত্যার প্রায় ১ মাস অতিবাহিত হলেও থানা পুলিশ রহস্যজনক কারণে মামলার প্রধান আসামী রেজাউল করিম (পুলিশ পরিদর্শক, সশস্ত্র মিরপুর জোন), পুলিশ সদস্য হৃদয় ও সোহেলসহ অন্যান্য এজাহারভুক্ত আসামীদের গ্রেফতার না করে কাল ক্ষেপণ করছে। হত্যা মামলার আসামী হয়েও তারা নিজ কর্মস্থলে বহালতবিয়তে রয়েছে।
তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে প্রশ্ন রেখে বলেন, একজন পুলিশ কর্মকর্তা হয়ে অন্য পুলিশকে কিভাবে হত্যা করতে পারে? অপরদিকে আসামীরা মামলা তুলে নেবার জন্য আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকী দিচ্ছে। আমার দুই শিশু সন্তানসহ প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিহত আনোয়ারের বৃদ্ধ বাবা ওহাব প্রাং, চাচাতো ভাই রেজাউল করিম, আনোয়ারের দুই শিশু সন্তান চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র মিতুল (৮) ও মায়শা (৪)। সংবাদ সম্মেলনে তার শিশু সন্তান নিয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং স্বামী হত্যার সুবিচার দাবী করেন।
উল্লেখ্য, পাওনা টাকার বিরোধকে কেন্দ্র করে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার গ্রামের বাড়িতে ছুটিতে আসা পুলিশ সদস্য আনোয়ারকে (ক/১২৭৪৩) ধরে নিয়ে বেড়া উপজেলার কাশিনাথপুরে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। সে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ পটেকশন বিভাগে কর্মরত ছিল। ২৬ মার্চ সকালে স্থানীয় এক মেস থেকে আনোয়ারের লাশ উদ্ধার করে আমিনপুর থানাপুলিশ। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী খালেদা খাতুন বাদী হয়ে উল্লেখিত পুলিশ অফিসার রেজাউল করিম, হৃদয় ও সোহেলসহ ছয় জনের নাম উল্লেখ করে ২৭ মার্চ আমিনপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পিডিএসও/রানা