মেহেরপুর প্রতিনিধি

  ২০ মে, ২০২০

মেহেরপুরে লিচু চাষীরা লাভবান হচ্ছে

মেহেরপুরের লিচু বাগানগুলোর গাছে গাছে লাল টকটকে থোকা থোকা লিচু ঝুলছে। গাছের লিচু দেখে পথচারীদের প্রাণ জুড়িয়ে যাচ্ছে। বাগান মালিক ও লিচু ব্যবসায়ীদেরও মন প্রাণ জুড়িয়ে যাচ্ছে। করোনা দুর্যোগে এমন দাম আশা করেনি চাষীরা। গত কয়েক বছরে এমন ভালো দাম মেলেনি লিচুর।

দুই যুগ ধরে মেহেরপুরের গাংনীর ফরিদুল ইসলাম লিচুর চাষ করে আসছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দু-একবছর লিচুর চাষে বিপর্যয় দেখেছেন। গাছে তরতাজা লিচু নিয়ে তার কপালে দেখা দিয়েছিল দুশ্চিন্তার ভাঁজ। সেই ভাঁজ হারিয়ে গেছে ভালো দাম মেলাতে। ফরিদুলের মতো মেহেরপুরের লিচু চাষীরা আশংকা করছিল এবার করোনার কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। ভেঙে যাবে লিচুচাষে স্বপ্ন বাস্তবায়নের। কিন্তু বিপরিতটাই মিলছে।

সদর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের লিচুচাষী হামিদুল ইসলামের লিচু বাগানে দেখা যায়, গাছে লিচু পেকে মানুষের দৃষ্টি কাড়ছে। তিনি জানান, গাছে পাকা লাল লিচু দেখে মন জুড়িয়ে যাচ্ছে। ক্রেতা সংকটে লিচু গাছেই নষ্ট হবে বলে মনে করেছিলেন। কিন্তু বাইরের ব্যাপারিরা এসে প্রতিদিন মেহেরপুরের লিচু নিয়ে যাচ্ছে। কাঁচা মালের কারণে পথেও পুলিশের কোনো বাধা নেই। তিনি আরও জানান, এলাকার চাষিদের কাছ থেকে যে সকল ব্যবসায়ী আগেই লিচু বাগান কিনে নিয়েছেন, এ বছর তারা মূলধন তুলতে পারবেন বলে শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন।

আম-লিচুর বাগান ক্রেতা বজলুর রহমান জানান, বেশ কয়েকটি আম-লিচুর বাগান কেনা আছে। ব্যাপক যত্ন-আত্মিতে গাছে গাছে আম লিচুতে ভরে আছে। গতবছর প্রতিহাজার লিচু ১১ থেকে ১২শ টাকা দামে বিক্রি করতে হয়েছে। এবার প্রতিহাজার লিচু ১৬ থেকে ১৮শ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কামরুল হক মিয়া জানান, চলতি মৌসুমে মেহেরপুর অঞ্চলে সাড়ে ৩শ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান আছে। প্রতি হেক্টরে ৮ মেট্রিক টন হারে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা আছে। স্থানীয় মোজাফফর জাতের আটি লিচু খুব সুমিষ্ট। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় যেমন ফলন ভালো হয়েছে, তেমন দামও পাচ্ছে চাষীরা। ঈদের পরেই বোম্বাই, চাইনা-৩ জাতের লিচু বাজারজাত করা যাবে।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মেহেরপুর,লিচু চাষী,করোনা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close