reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৫ এপ্রিল, ২০১৮

লাঠি দিয়ে বাঘের সঙ্গে তরুণীর লড়াই!

রুপালি মেশরাম রক্তাক্ত মুখে মায়ের সঙ্গে একটি সেলফিও তুলেছেন

বাঘের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে গেছেন ভারতীয় এক তরুণী। নিজের পোষা ছাগলের জীবন বাঁচাতে শুধু লাঠি হাতে বাঘের সঙ্গে লড়াই করেছেন রূপালি মেশরাম (২৩) নামের ওই তরুণী। গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রে এ ঘটনা ঘটলেও তা জানাজানি হয়েছে বুধবার। চিকিৎসকরা বলছেন, মেশরাম অত্যন্ত সৌভাগ্যবতী যে বাঘের আক্রমণের পরও বেঁচে গেছেন।

মেশরাম জানান, পশ্চিম মহারাষ্ট্রে বান্দারা জেলার উসগাও গ্রামে তাদের বাড়িতে রাতের বেলায় একটি বাঘ হানা দেয় এবং তার পোষা ছাগলের ওপর হামলা করে। ছাগলের চিৎকারে তিনি ঘর থেকে বের হয়ে একটি লাঠি নিয়ে বাঘকে আঘাত করেন। তখন বাঘটি ছাগল ছেড়ে দিয়ে তাকে আক্রমণ করে।

চিৎকার শুনে মেশরামের মা-ও এগিয়ে আসেন। তিনি মেশরামকে টেনে বাড়ির ভেতরে নিয়ে যান। এ ঘটনায় মা-মেয়ে দুজনেই আহত হন। তাদের আঘাত তত গুরুতর ছিল না। চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয় তাদের। তবে বাঘের হামলায় ছাগলটি মারা যায়। আর মা-মেয়ের প্রতিরোধে বাঘটি রণে ভঙ্গ দিয়ে পালিয়ে যায়। আর ঘরে গিয়ে বাঘের হামলায় আহত মেশরাম তার একটি সেলফি তোলেন। ওই ছবিতে তার মুখে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়।

এদিকে লাঠি নিয়ে সাহসের সঙ্গে বাঘের সঙ্গে লড়াই করে খবরের শিরোনাম হয়েছেন মেশরাম। আহত মেশরামের চিকিৎসা করেছেন যে চিকিৎসক তিনি বাঘের সঙ্গে তার লড়াইয়ের ঘটনাকে অনুকরণীয় সাহস বলে প্রশংসা করেন। তবে তিনি বলেন, মেশরামের সৌভাগ্য যে বাঘ তার শরীরে কামড় বসাতে পারেনি।

চিকিৎসক জানান, বাঘের হামলায় রূপালি মাথায়, কোমরে, হাতে ও পায়ে আঘাত পেয়েছেন। তবে তা গুরুতর ছিল না। আর তার মা চোখের কাছে আঘাত পেয়েছেন। দুজনেই দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। হামলার ঘটনার ১০ দিন পর মেশরামের একটি ছবি তুলেছে বিবিসি। তাতে তার শরীরে স্পষ্ট কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি।

সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে মেশরামের মা জিজাভাই বলেন, আমি মনে করেছিলাম, আমার মেয়ে মরতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, রক্তাক্ত শরীরে লাঠি নিয়ে মেয়েকে বাঘের সঙ্গে লড়াই করতে দেখে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। মা-মেয়ে দুজনেই জানান, তারা বনের এক নিরাপত্তারক্ষীকে ডেকেছিলেন। কিন্তু ৩০ মিনিট পর ওই নিরাপত্তারক্ষী যখন সেখানে পৌঁছান ততক্ষণে বাঘটি চলে যায়।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ভারতীয় তরুণী,রূপালি মেশরাম,মহারাষ্ট্র
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist