প্রধানমন্ত্রী আজ ধরলা সেতু উদ্বোধন করবেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রোববার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ধরলা নদীর ওপর নির্মিত ‘শেখ হাসিনা ধরলা সেতু’ (দ্বিতীয় ধরলা সেতু) উদ্বোধন করবেন। গতকাল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ আবদুল আজিজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ২৮ এপ্রিল সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী জনদুর্ভোগ লাঘবে সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ‘শেখ হাসিনা ধরলা সেতু’ উদ্বোধন উপলক্ষে যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্স প্রচার করার জন্য সেতুর পূর্ব পাড়ে তৈরি করা হয়েছে প্যান্ডেল।
এলজিইডির অধীনে শেখ হাসিনা ধরলা সেতুটি (দ্বিতীয় ধরলা সেতু) নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নে সিমপ্লেক্স ও নাভানা কনস্ট্রাকশন গ্রুপের সঙ্গে যৌথ চুক্তি সম্পাদিত হয় ২০১৪ সালে। ১৯টি স্প্যান সংবলিত এ সেতুর কাজ শেষ হয় গত বছর অক্টোবরে। কুড়িগ্রাম এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত জনগুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প ‘শেখ হাসিনা ধরলা সেতু’। নদী শাসন, অ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণ ও মূল সেতু নিমার্ণের জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ১৯১ কোটি ৬৩ লাখ ২২৩ টাকা ৫৮ পয়সা। এই সেতুর ফলে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার জনগণ, বিশেষ করে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলার মানুষ অনেক বেশি উপকৃত হবেন।
সেতুটি চালুর ফলে ভূরুঙ্গামারীর বঙ্গসোনাহাট স্থলবন্দরের মালামাল পরিবহন অনেক সহজ হবে। কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার কৃষিজাত পণ্য পরিবহনে জটিলতাও কমবে। এছাড়া বঙ্গসোনাহাট স্থলবন্দর হয়ে ফুলবাড়ীর ‘শেখ হাসিনা ধরলা সেতু’ দিয়ে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে (আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা ও অরুণাচল) পণ্য পরিবহনের ব্যয়ও কমবে। এসব রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা হয়ে কলকাতার যোগাযোগও অনেক সহজ হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা।
পিডিএসও/হেলাল