আদালত প্রতিবেদক
শিক্ষক লাঞ্ছনা
জামিন পেলেন সেলিম ওসমান
নারায়ণগঞ্জের শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে ওঠবস করার ঘটনায় করা মামলায় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানকে জামিন দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম জেসমিন আরা বেগম তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। বিচারক আগামী ৪ জুলাই এ মামলার অপর আসামি অপুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিসংক্রান্ত তামিল ফেরতের জন্য আগামী ৪ জুলাই দিন ধার্য করেছেন। এর আগে ১৪ মে ঢাকা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আরা আদালতে সেলিম ওসমান আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তার জামিন শুনানির জন্য আজ ২৩ মে দিন ধার্য করেছিলেন। সেলিম ওসমানের আইনজীবী এস এম সিদ্দিকুর রহমান আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণপূর্বক জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে কৌঁসুলি আনোয়ারুল কবীর বাবুল জামিনের বিরোধিতা করেন।
উল্লেখ্য, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ২০১৬ সালের ১৩ মে নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে ওঠবস করান স্থানীয় সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান। এর একপর্যায়ে শ্যামল কান্তি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ওই রাতেই তাকে প্রথমে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরদিন শহরের খানপুরে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে ডা. শফিউল আজমের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন থাকার পর ২০ মে পুলিশি প্রহরায় শ্যামল কান্তি ভক্তকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের অধীনেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
২০১৬ সালের ১০ আগস্ট শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে লাঞ্ছনা করানোর ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান জড়িত কি না-সে বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
ওই দিন আদালত আদেশে বলেন, কানধরে ওঠবসের ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সম্পৃক্ততা নেই মর্মে-পুলিশের প্রতিবেদনে প্রকৃত সত্য তুলে ধরা হয়নি। পুলিশের প্রতিবেদন অসম্পূর্ণ ও অগ্রহণযোগ্য।
২০১৭ সালের ১৯ জানুয়ারি বিচার বিভাগীয় প্রতিবেদন দাখিল করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রে শেখ হাফিজুর রহমান ওই প্রতিবেদন হলফনামা আকারে দাখিল করেন। বিচারক শেখ হাফিজুর প্রতিবেদনে ছয়টি সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন।
"